অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের নারী কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

রাজধানীর ক্যার্ন্টমেন্ট এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার নামে সহকর্মীর বিপুল পরিমান টাকা আত্নসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংক মিরপুর ১০ শাখার সিনিয়র অফিসার লিমা খানমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে তার কর্মস্থল থেকে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একই ব্যাংকের যমুনা ফিউচার পার্ক শাখার সিনিয়র অফিসার হাফিজুর রহমানের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি লিমা খানম তার পারিবারিক একটি ফ্ল্যাট কেনার প্রস্তাব দেয়। লিমা খানমের এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে হাফিজুর রহমান ব্যাংকের চেক ও নগদ বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৩২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। টাকা দেয়ার পর ফ্ল্যাট না বুঝে দিয়ে লিমা নানা ধরনের টালবাহনা শুরু করে। এক পর্যায়ে টাকা না দেয়াসহ ঢাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।
হুমকির প্রেক্ষিতে হাফিজুর রহমান আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আদালত লিমা খানমকে সমন জারি করে। আদালতের সমন পাওয়ার পরও হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়না জারি করে। আদালতের গ্রেফতারী পরোয়নায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ আড়াইটার দিকে মিরপুর ১০ জনতা ব্যাংকের শাখা থেকে লিমা খানমকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদি হাফিজুর রহমান জানান, ‘একই ব্যাংকে চাকুরির সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে লিমা আমাকে তার পারিবারিক একটি ফ্ল্যাট কেনার প্রস্তাব দিলে আমি রাজি হই। পরে ৫৫ লাখ টাকার একটি চুক্তিও হয়। চুক্তি হওয়ার পরে আমি তাকে বিভিন্নভাবে প্রায় ৩২ লাখ টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু টাকা পরিশোধ করার পর্যায়ে তার আচার আচরণ সন্দেহের সৃষ্টি করে। এমন সময় আমি তাকে ফ্ল্যাট বুঝে দেয়ার কথা বললে সে নানা ধরনের হুমকি দেয়। এমনকি আমার বিরুদ্ধে মামলাও করে। মামলায় জামিনে বেরিয়ে আসার পর তাকে আবারো ফ্ল্যাটের কথা বললে সে তার লোকজন দিয়ে ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় অন্যথায় হত্যা করা হবে বলে জানায়। পরে উপায়হীন হয়ে আমি আদালতের আশ্রয় নিই। আদালতের ওই মামলায় তাকে আটক করে পুলিশ।’
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আতিকুর রহমান বলেন, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা লিমা খানমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা তাকে আটক করি।
নতুনসময়/আইকে