ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত আশিক হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি


৫ মে ২০২৫ ১৯:২১

সংগৃহিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত আনিসুর রহমান আশিকের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন গ্রেপ্তার আসামি দিলীপ কুমার আগারওয়াল। তিনি আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক। তিনি গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই অসুস্থতা দেখিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

সোমবার সকালে ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে আশিক হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তার পরিবার সদস্যরা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এই মামলার আইনজীবী শাহরিয়ার হাসান জয়।

নিহত আশিকের বড় বোন তাহমিনা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত একটি নম্বার থেকে ফোন করে দিলীপের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে মামলার এজাহারনামীয় ১৬ নম্বর আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নাম বাদ দিতে বলেন।

তিনি বলেন, পরে আসামি দিলীপ তার ম্যানেজারের কাছ থেকে ফোন নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। দিলীপ জানান, আমি ইতিমধ্যে হাসপাতালে আছি। অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান আমার বন্ধু। রাষ্ট্রপক্ষ আমার বিরুদ্ধে বিরোধিতা করে নাই। আসাদুজ্জামান আমাকে হাসপাতাল প্রেরণের আদেশ দিয়েছে, শীঘ্রিই মুক্ত হয়ে যাব।

তাহমিনা বলেন, এরপর মামলা থেকে তার নাম বাদ দিতে আমাকে আর্থিক সহযোগিতার প্রলোভন দেখানো হয়। এ সময় তিনি বলেন, মামলা থেকে নাম বাদ না দিলে ভালো হবে না। হত্যা চুরিসহ পাঁচটা মামলায় গ্রেপ্তার করাবো বলে হুমকি দেয়। পরে আমি শেরে-বাংলা নগর থানায় গিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। সংবাদ সম্মেলনে নিহত আশিকের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে তার বোন তাহামিনার প্রধান উপদেষ্টার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।

এই মামলার আরো উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলো- স্বাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সরকার, শ্রমিক লীগ নেতকা আওরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল কাদের মাঝি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লিয়াকত আলী খান মুকুল, সাবেক এমপি জযনাল আবেদিন মোল্লা, যুবলীগ নেতা মারুফ হোসেন মুকুল, যুবলীগ নেতা ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ ও যুব মহিলা লীগের আনোয়ারা খান আনু।