ঢাকা বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২

হাসিনার মেগা প্রকল্পে মেগা ভুল


৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:১৪

ফাইল ফটো

নির্মাণ না করায় গত বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ভেঙে রেললাইন ভরাট হওয়ার ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে ওয়ালের পকেট গেটগুলো অরক্ষিত রাখায় রেললাইনের ওপর হাতিসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ওঠার সুযোগ আছে। 

 

অন্যদিকে দোহাজারি-কক্সবাজার পর্যন্ত ৯টি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বর্ষার সময় পানি প্রবেশ করে। প্ল্যাটফর্মের শেডের উচ্চতা স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে উঁচু হওয়ায় প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। প্রতিটি স্টেশন ভবনের অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ করে। ফলে প্রকল্পের সমীক্ষা, কাজের মান, ডিজাইনসহ নানা কাজ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। 

 

 

সরকারি রেল পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ বলেন, দুই দিন ধরে পুরো রেললাইন সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনে আমরা রেলপথ, লেভেল ক্রসিং, পয়েন্ট ক্রসিং, পাহাড় ধস, ট্র্যাকের কাজ, সিগন্যালিং সিস্টেম, নিরাপত্তাব্যবস্থা, ইলেকট্রিক্যাল লেভেল এবং আইকনিক স্টেশনসহ সব কিছু দেখেছি। এ ব্যাপারে আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নেব। একই সঙ্গে আমরা পরিদর্শন টিমও একটি পর্যবেক্ষণ দেব। সব মিলে আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেব। এর পর প্রতিবেদন মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সবুক্তগীন বলেন, প্রকল্পটি বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ মতে করা হয়েছে। পাহাড়ের উভয় পাশে লতা-ঘাস ও গাছ লাগানো হয়েছে। তাছাড়া, ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মারা যাওয়ার পর উভয় পাশ দিয়ে যাতে হাতি রেললাইনে নামতে না পারে সেজন্য উঁচু করে ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। হাতি নামার পথটি ব্লক করে দেওয়া