বনানীর পাখি এখন উত্তরায়, স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে দেহ ব্যবসার কারবার
-2024-07-05-18-55-28.jpg)
বনানী ছেড়ে পাখি এখন আস্তানা গেড়েছে উত্তরায় । আর সেখানেই স্পা সেন্টারের নামে আবারো শুরু করেছেন জমজমাট দেহ ব্যবসার কারবার। উত্তরার অতি ব্যস্ততম এলাকা ৭ নম্বরের সেক্টরের ঢাকা ময়মনসিংহ রোডে সাঈদ গ্যান্ড সেন্টারের ৭ তলায় গড়ে তোলা হয়েছে স্পা সেন্টার। আর সেখানেই পাখি তার স্বামী সাইদুলকে নিয়ে অবাধে চালাচ্ছে নিষিদ্ধ দেহ ব্যবহার কারবার। সহযোগী হিসেবে রয়েছে হাবিবুর রহমান নিরব, লাল মিয়া, আশরাফ হোসেন।
ব্যস্ততম এলাকায় কি করে এমন অবাধে চলছে নিষিদ্ধ কারবার এটি নিয়েই প্রশ্ন তোলেছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
জানা যায়, পাখি নামের এই নারী রাজধানীর বনানীতে গড়ে তোলেছেন নিষিদ্ধ এ কারবার। বেশকিছু দিন সেখানে এ নিষিদ্ধ কারবার করার কারণে স্থানীয় লোকজনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিলে বনানী থেকে সটকে পড়ে নারী সাপ্লাই জগতের অন্যতম এই পাখি। এরপর সে উত্তরায় গড়ে তোলেছে এই কারবার। পাখি ও তার স্বামী সাঈদুলসহ তার কয়েকজন সহযোগী মিলে চালাচ্ছেন এই কারবার।
সরেজিমন দেখা যায়, উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টর। ঢাকা ময়মনসিংহ সড়ক। এর পাশে বিলাসবহুল সাঈদ গ্রান্ড সেন্টার। সেন্টারটির অন্যান্য ফ্লোরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও এর ৭ তলায় চলছে নিষিদ্ধ দেহ ব্যবসার কারবার। ব্যস্ততম এই এলাকায় কেমন করে প্রকাশ্যে অবাধে এই দেহ ব্যবসা চলছে সেটি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি এখানে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে কি প্রতিষ্ঠান দিয়েছেন। পরে নানা বয়সী নারী যাতায়াতে তারা বুঝতে পারেন এখানে নারী দিয়ে নিষিদ্ধ কারবার চলছে।
তারা বলেন, এই ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই পুলিশসহ অন্যান্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই করতে হয় সেহেতু লোকজন ভয়ে আর কিছু বলেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাখি রাজধানী ঢাকার নারী সাপ্লাই গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য। স্পার নামে একদিকে যেমন ওই স্থানেই দেহ ব্যবসার আস্তানা গড়ে তোলেছেন তেমনি বিভিন্ন স্থানে মনোরঞ্জনের জন্য নারী সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন গেট হাউস, রেস্ট হাউসেও নারী সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। অর্থ্যাৎ রাজধানীতে নারী সাপ্লাই গ্যাংয়ের যে কয়েকজন সদস্য রয়েছে তার মধ্যে সে অন্যতম। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন সে এই নিষিদ্ধ কারবারে জড়িত।
জানা যায়, সাঈদ গ্র্যান্ড সেন্টারের তার আস্তানায় দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মদ জুয়ারও আসর বসে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই আসর। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে এই আসরে যোগ দেয়। প্রকাশ্য ব্যস্ততম এলাকায় এ অধরনের অসামাজিক কার্যকালাপের জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি বিএম ফরমান আলী বলেন, আমি এ রকম অভিযোগ পায়নি। এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।