তিন আসামির স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন
-2024-07-04-13-44-19.jpg)
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির দোষ স্বীকার করে দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন তাদের আইনজীবী।
এ তিন আসামি হলেন- ঝিনাইদাহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, শিমুল ভূইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভূইঁয়া।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাবুবুর রহমানের আদালতে উল্লেখিত আসামিদের জবানবন্দি প্রত্যাহারের বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত করা হয় আসামিদের। তাদের পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীসহ আরো অনেক আইনজীবী শুনানি করেন। পরে আদালত আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিরা রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ বলে চিকিৎসার আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারাকর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এখন পর্যন্ত এ মামলায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- শিমুল ভূইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূইঁয়া, শিলাস্তি রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, ফয়সাল আলী সাহাজী ও মোস্তাফিজুর রহমান। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু আদালতে জবানবন্দি দেননি। তিনি রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম। এরপর ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায় কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের আনার খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।