ইটভাটা থেকে শিশু শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
-2024-07-02-10-04-54.jpg)
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদাহ শংকরচন্দ্র গ্রামের হিমালয় অটো ইটভাটার পুকুর থেকে শান্ত নামে এক কিশোর শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ইটভাটার পুকুর থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত শান্ত সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্রপুর ইউপির জালশুকা গ্রামের পারহাউজ পাড়ার আজিজুল হক আইজলের ছেলে।
নিহত শান্তর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, হিমালয় অটো ইটভাটার ৫০-৬০ ফুট গভীর কয়লার হাউজ পরিষ্কার করার জন্য ভাটার অন্য কোনো শ্রমিক রাজি করাতে পারেনি মালিক পক্ষ। এক পর্যায়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে কিশোর শ্রমিক শান্তকে কয়লার হাউজ পরিষ্কার করতে নিচে নামিয়ে দেয়। হাউজের নিচে অক্সিজেনের অভাব থাকায় নামানোর কিছুক্ষণের মধ্যে শান্তর দম আটকে সে উপরে উঠার জন্য চেষ্ঠা করে। পরে অন্য শ্রমিকরা শান্তকে উপরে তুলে আনতে সক্ষম হলেও তাকে বাঁচাতে পারেনি। ফলে এই মৃত্যু ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য অটো ইটভাটা কর্তৃপক্ষ শান্তর লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।
গ্রামবাসী আরো জানায়, এক বছর আগে একই কয়লার হাউজ পরিষ্কার করতে গিয়ে ঐ ইটভাটা শ্রমিক সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের সানোয়ার হোসেন মারা যায়। সেসময় ইটভাটা কর্তৃপক্ষ সানোয়ার স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে পার পেয়ে যায়।
জানা যায়, নিহত শান্ত গ্রামের মসজিদে নিয়মিত আজান দিতেন। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। পাশাপাশি সংসার চালানোর তাগিদে ঐ ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। খুব ভালো ছেলে ছিলো শান্ত।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হিমালয় অটো ইটভাটা কর্তৃপক্ষর কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন বলেন, আমরা লাশ উদ্ধারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শান্ত পানিতে ডুবে মারা গেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। সুরতহাল করে লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।