ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

এএসপি আনিসুল হত্যার তদন্ত হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে-আইজিপি


১১ নভেম্বর ২০২০ ২১:৩১

ফাইল ছবি

রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

বুধবার দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্য জানায় পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।

এতে জানানো হয়, এএসপি শিপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইজিপির নির্দেশে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, যেন এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার কোনো পুনরাবৃত্তি না হয়।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসার জন্য সিনিয়র এএসপি শিপনকে রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ওই সময় সেখানে কোনো মানসিক রোগের চিকিৎসক ছিলেন না। হাসপাতালের কর্মচারীরা চিকিৎসা দেয়ার অজুহাতে তাকে জোর করে দোতলার একটি অবজারভেশন কক্ষে নিয়ে যায়।

হাসপাতালটির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকালে আনিসুল করিম হাসপাতালে ঢোকার পরই ছয়-সাতজন তাকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এ সময় মাথার দিকে থাকা দুজন হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন আদাবর থানায় মামলা করেন। ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছে, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।

আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ জানান আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই দুই বছর ধরে হাসপাতালটি চালিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ।