ছাগলকান্ডের মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার ও মেয়ে ফারজানা আখতার ইপশিতাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলে আবেদন

ছাগলকাণ্ডে দেশব্যাপি আলোচিত এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পলাতক স্ত্রী শাম্মী আখতার ও মেয়ে ফারজানা আখতার ইপশিতাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে।
দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) আবেদন পেয়েছে। পরবর্তীতে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, (এনসিবি) আলী হায়দার চৌধুরী জানায়, আদালত, প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) অথবা তদন্ত সংস্থার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে থাকে।
জানা যায়, মতিউর ও তার স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে অন্তত ৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মতিউর ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কাণিজ গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মি আখতার , মেয়ে ফারজানা রহমান ইপশিটা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান বর্তমানে পলাতক। মতিউরের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপশিটা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলছে, বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী ঘটনার পরপরই ছেলেকে নিয়ে মালয়েশিয়া চলে যান । দেশেই আত্নগোপনে থাকেন মতিউর ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ। পরবর্তীতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মতিউর ও লায়লা কানিজ গ্রেফতার হলেও তারা এখনও অধরা।
সূত্র জানায়, বর্তমানে শাম্মি আখতার কখনো মালয়েশিয়া কখনো ভারতে অবস্থান করছেন। আর সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। বিগত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে জুম মিটিং করে নানাস্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। অভিযোগ আছে, বিদেশ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা ঢালছেন তিনি এবং বরখাস্ত হওয়া লেফটানান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন।
জানা যায়, মূলত এ কারণে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নেমেছে দুদক ও পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা ইন্টারপোলে আবেদনও করেছে।