বঙ্গবন্ধু হত্যায় শীর্ষ ভূমিকায় ছিলো মোস্তাক ও জিয়া: বিচারপতি মানিক

বঙ্গবন্ধু হত্যায় শীর্ষ ভূমিকায় ছিলো মোস্তাক ও জিয়া বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত 'ইতিহাস বিকৃতি ও আমাদের দায়' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তান চেয়েছিল বাংলাদেশ চায়নি সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জয় বাংলা'কে তেপান্তরে পাঠানোর মাধ্যমে। তিনি সমস্ত রাজাকার-আলবদরদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করলেন। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ শেষ করেছেন জয় বাংলা বলে। এরপরে তিনি আর কোন কথা বলেন না। যারা জয় পাকিস্তান বলছে তারা সুযোগ সন্ধানী, উদ্দেশ্যমূলকভাবেই তারা এই কথাগুলো বলছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রসিকিউশন টিমের একজন সদস্য হিসেবে বলতে চাই, আমরা যে এভিডেন্স গুলো পেয়েছি তাতে বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার নীল নকশাকারী ছিলেন। উনার নির্দেশে কয়েকজন কর্নেল এবং মেজর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। মোস্তাক এবং জিয়ার ভূমিকা ছিল শীর্ষে।
এছাড়াও তিনি বলেন, মিথ্যা প্রকাশ করা প্রকাশনীকে ব্যান করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, যারা চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন হোক, তাদেরকে উপদেশ দিয়ে কোন লাভ নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর হতে হবে এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যারা এই (এ কে খন্দকারের বই নামটি লিখে দিয়েন) বইটি ছাপিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন এর সকল প্রক্রিয়া নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যে প্রকাশনী সংস্থা এই মিথ্যা প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকার সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং প্রকাশনী সংস্থাকে ব্যান করার দাবি জানাচ্ছি।
বিশিষ্ট লেখক ও কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, একটা স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৪ জন নেতা থাকে না। আমাদের যে স্বাধীনতার সংগ্রাম এই সংগ্রাম যার নেতৃত্বে চূড়ান্ত পর্যায়ের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে আরো অনেকেই থাকবেন এটাই নিয়ম। সবচেয়ে লজ্জাজনক বিষয়, শীর্ষ নেতাকে ছোট করার যে মনোবৃত্তি, এটি জঘন্য একটি মনোবৃত্তি। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার আর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ইতিহাসের সিংহাসনে তিনি সম্রাট। তাকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামানো যাবে না। যারা নামানোর চেষ্টা করবেন তারা নিজেরাই ছোট হবেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের (সাবেক) প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।