ঘূর্ণিঝড় ফণী'র আঘাতে যেই জেলাগুলোতে বেশি ক্ষতি হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় ফণী'র আঘাতে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নোয়াখালী, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাতে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’পরবর্তী অবস্থা নিয়ে এই তিন জেলার প্রশাসকদের দেয়া তথ্য তুলে ধরা হল:-
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে আমাদের জেলায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা প্রস্তুত ছিলাম মোকাবেলার জন্য। না হলে হয়তো আরও বেশি ক্ষতি হতে পারতো। আমাদের জেলায় ৬৮৯টি মাটির ঘর বা কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। আর ৩৩৩টি ঘরবাড়ির আকস্মিক ভাবে ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থানের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। দুই এক দিনের মধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নতুন ঘর দিব। ইতোমধ্যে ২ হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করেছি। যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে তাদের পাশের স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করেছি। সেই সাথে পরিবার প্রতি ৫ হাজার টাকা এবং ২০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা বলেন, পটুয়াখালীর আট উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ছয় হাজার একর ফসল, তিন হাজার গাছপালা, ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং দুই হাজার ৯২টি বসতঘর (আংশিক) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ১৭৫ টি গবাদিপশু এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সবাই মিলে কাজ করার ফলে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। এ ধরনের সম্মিলিত প্রয়াস আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের জেলায় ঝড়ের কবলে দুই জন নিহত হয়েছে। আমরা প্রস্তুত ছিলাম ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলার জন্য। আমরা যে ধরণের প্রস্তুত ছিলাম সেই ধরণের ঘটনা ঘটেনি। জেলার কয়েকটি মাটির ঘর ভেঙে গেছে। বাঁধ ভেঙে আশপাশের ১৭ কিলোমিটার জায়গা পানিবদ্ধ হয়ে যায়। বাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ২১০টন চাল বিতরণ করেছি। সেই সাথে প্রতিটি উপজেলায় ১ লাখ করে টাকা অনুদান দিয়েছি।
নতুনসময়/এনএইচ