ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১


বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের শাহাদাতবার্ষিকী পালিত


৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৩৫

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে আলোচনাসভা, র‌্যালি, দোয়া মাহফিল ও বিজিবির গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটিতে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেন নূর মোহাম্মদ।

নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমানে নূর মোহাম্মদনগর) জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা।

দেশের এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নড়াইলের নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তার স্মৃতিস্থম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কোরআন খানি ও দোয়া এবং স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। শার্শায় ৪৯ বিজিবি তার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এদিকে শার্শা উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পৃথক অনুষ্ঠান করেছে।

১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর, বর্তমানে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি) যোগদান করেন। দিনাজপুর সীমান্তে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই বদলি হন যশোর সেক্টরে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যশোর নিয়ে গঠিত আট নম্বর সেক্টরে দেশ মাতৃকার মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা গ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেন নুর মোহাম্মদ শেখ।

৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলেও সহযোদ্ধাকে কাঁধে করে এলএমজি হাতে নিয়ে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে গুলি ছুড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে পাক হানাদার বাহিনীর একটি মর্টারের আঘাতে নূর মোহাম্মদের হাঁটু ভেঙে যায়। সহযোদ্ধাদের রক্ষার জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে যুদ্ধে শাহাদত বরন করেন তিনি।

রাষ্ট্র তাকে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের সর্বোচ্চ খেতাব বীরশ্রেষ্ঠ প্রদান করে।

বর্তমানে তার সমাধিস্থলটি গোচারন ভুমিতে পরিণত হয়েছে। গরু ছাগল সার্বক্ষনিক সমাধির ওপর বিচরণ করে। শুধুমাত্র তার মৃত্যু বার্ষিকী পালনের তিন দিন আগে ধোয়া মোছার কাজ সম্পন্ন করা হয়।

একেএ