ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


পটুয়াখালীতে নির্মানাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের ছাদ ধ্বস


১৫ মার্চ ২০২৪ ১৬:১৭

ছবি : নতুন সময়

দুর্গম চরবাসির স্বপ্নের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের সময়েই ধ্বসে পরেছে ছাদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সারাদিন ধরে চলে ভবন নির্মানের কাজ। এরপর সন্ধ্যায় এর ছাদ ধ্বসে পরে। তবে ভবনের ছাদ ধ্বসে পরায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নির্মাণ শেষ হলে চরাঞ্চলের ২ (দুই) লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এ। তবে প্রশ্ন উঠেছে, ভবন নির্মাণে কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পটুয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়্যারম্যান হাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্রাইম কনস্ট্রাকসনের কাজের মান নিয়ে। ১০ হাজার স্কায়ার ফুটের এ ভবনটির নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২ কোটি টাকা। ২০২৩ সলের চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কোন প্রকৌশলীর নজরদারী ছাড়াই ভবন নির্মানের কাজ চলছিলো। ভবন নির্মানের কাজের নজরদারির জন্য একজন প্রকৌশলী নিয়োগ করা হলেও বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ভবনের ছাদ ধ্বসের সময়ও অনুপস্থিত ছিলেন ওই প্রকৌশলী।

স্থনীয়রা বলেন, সারাদিন ধরেই চলছিলো ভবন নির্মনের কাজ হঠাৎ সন্ধ্যায় বিকট শব্দ হয়ে এটি ভেঙে পরে। নিম্নমানের কাজের কারনেই এমন ঘটনা ঘটে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার ২ (দুই) লাক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কথা শোনা যায়। ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙ্গাবালীকে উপজেলা ঘোষনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী রাঙ্গাবালীকে উপজেলা ঘোষনার ১২ বছরেও কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মান হয়নি । তবে এটিই প্রথম কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মান কাজ চলছিলো।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রাহাত বলেন, ভবন নির্মানে নিম্নমানের কোন সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। তবে তিনি নির্মান শ্রমীকদের অদক্ষ্যতার দোহাই দিয়ে বলেন সেন্টারিংয়ে ত্রুটির কারনেই ঘটেছে এ ঘটনা।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ এসএম কবির হোসেনের মুঠফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সহ তিন সদ্যসের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নতুনসময়/এএম


পটুয়াখালী, চেয়্যারম্যান, ছাদ ধ্বস, ভবন, প্রকৌশলী, নজরদারী