ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বঙ্গবন্ধুর লাগানো নারকেল গাছের বয়স এখন ৪৮ বছর


১৭ মার্চ ২০২০ ১৭:০৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৩ জুলাই খুলনা সফরে যান। ওই সময় খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে এসেছিলেন তিনি।

সে সময় কলেজ প্রাঙ্গণে একটি নারকেল গাছ রোপণ করেন জাতির পিতা। গাছটি দীর্ঘ ৪৮ বছরে অনেক বড় হয়েছে। ফলও দিয়েছে অনেক।

মহানগরীর বয়রাস্থ খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে আরও কিছু নারকেলগাছ থাকলেও এই একটি গাছের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি।

শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে লাগানো নারকেল গাছটি দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। নারকেল গাছটিকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। গাছটি নিয়মিত পরিচর্যাও করছে খুলনার হর্টিকালচার সেন্টার।

নারকেল গাছটি ঘিরে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু পার্ক’ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিময় এ গাছের ফল থেকে ১৩ চারাও তৈরি করা হয়েছে। যা ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উপলক্ষে খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানসহ কয়েজন নেতা-কর্মী নিয়ে ১৯৭২ সালের ৩ জুলাই সরকারি মহিলা কলেজে এসেছিলেন। এই সফরে তিনি নারকেল গাছের চারা নিজ হাতে রোপন করেন। সেই সময়ে কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন আনোয়ারা বেগম রানু।

বঙ্গবন্ধুর রোপন করা নারকেল গাছ, সেই গাছের নারকেল থেকে চারা। বর্তমান কলেজ চত্বরে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তেই দেখা মিলবে নারকেল গাছটি। গাছটির চারপাশে টাইলস এবং এসএস পাইপের সুদর্শন চত্বর। তার পাশেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য। পাশে ফুলের বাগান। সেখানে রং-বেরঙের ফুল ফুটেছে। ২০১১ সালে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আবক্ষ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন।

জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে রোপিত নারকেল গাছটি দীর্ঘদিন ধরে যত্নহীন পড়ে ছিল। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দা লুৎফুন নাহার ২০১০ সালে কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান।

এরপর কলেজের ইতিহাস জানার জন্য ঘাঁটতে থাকেন বিভিন্ন নথিপত্র। পেয়ে যান কিছু সাদা-কালো ছবি। এসব ছবিতেই ফুটে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর নারকেলগাছ লাগানোর চিত্র। পরে কলেজের পুরোনো কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে নারকেলগাছটি শনাক্ত করা হয়।

ঐতিহাসিক ছবিগুলোতে তৎকালীন অধ্যক্ষ আনোয়ারা বেগম ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানও রয়েছেন।

বিআর