নারায়ণগঞ্জে ১০০ কোটি টাকার নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিক পণ্য জব্দ

প্রায় এক শ’ কোটি টাকার দেশী-বিদেশী ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিক পণ্য জব্দসহ আটজনকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত এগারটার দিকে শিমরাইল এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের একাধিক দল এ অভিযান চালায়।
আটকরা হলেন, সাইফুল ইসলাম (৩৫), আমিনুল ইসলাম (৩২), সোহাগ (২৪), সিরাজুল ইসলাম (১৮), অহিদুল ইসলাম (৩৫), রাজীব (১৮), মইনুল ইসলাম (৩২) ও মেহেদী হাসান (১৮)।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ পিপিএম (বার), বিপিএম (বার) জানান, বিভিন্ন দেশের নামী-দামী ব্র্যান্ডের প্রসাধনী তৈরি করা হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা রাত এগারোটার দিকে এ অভিযান শুরু করি। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ও ইলেকট্রিক পণ্য পৃথক দুটি গোডাউন থেকে জব্দ করি। এসময় আটজনকে আটক করা হয়।
এসপি জানান, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এসব নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছে। প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত এসব নকল পণ্য তৈরী করে সরকারকে বিশাল অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে প্রতারণার দায়ে তার বিরুদ্ধে সে আইনে আমরা মামলা নিবো এবং মূল হোতাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো জানান, একটি গোডাউন থেকে প্রসাধনী সামগ্রীগুলো উদ্ধার করা হয়। অপর একটি গোডাউনে বিভিন্ন ব্রান্ডের টিভিসহ নানা ধরণের ইলেকট্রনিক পণ্য নকল করে বানিয়েছেন। জব্দকৃত পণ্যের মূল্য আনুমানিক ১ শ’ কোটি টাকা হতে পারে। এর মূল হোতা বেলায়েত হোসেন। তিনি ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা এবং মুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড ও ম্যাক্স ইলেক্ট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামক পৃথক দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক। মূলত এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই তিনি নকল প্রসাধনী, টিভি, মাইক্রোওভেনসহ নানা ধরণের ইলেকট্রনিক্স পণ্য বানাচ্ছিলেন।
একটি গোডাউনে দেখা যায়, প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার ৬৫ ইঞ্চি, ৭০ ইঞ্চি লাখ লাখ টিভি বানাচ্ছেন তারা। এগুলোর মধ্যে স্যামসাং, এলজি, সনি ও প্যানাসনিকসহ নামীদামী বিভিন্ন ব্যান্ডের স্টিকার লাগানো থাকলেও সব পণ্যই ভুয়া। তাদের বানানো সেন্ট ও প্রসাধনীগুলো খুবই বাজে। এগুলো ব্যবহারে মানুষের চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে এবং স্কিন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুনসময়/এসএম