দক্ষিণ সিটিতে শনিবার থেকে ছিটানো হবে নতুন ওষুধ

মশা নিধনের জন্য আনা নতুন ওষুধ শনিবার (১০ আগস্ট) থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রতিটি ওয়ার্ডে ছিটানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। একই সঙ্গে কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধোলাইখাল মাঠ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, মশা নিধনের জন্য বিদেশ থেকে আনা নতুন ওষুধ আগামীকাল থেকে ছিটানো হবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত আবাসিক ভবন ও ফ্ল্যাটের ভেতর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা মশা নিধনের কার্যক্রম চালাবেন। মশা নিধনের জন্য দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি অঞ্চল তদারকি করতে একজন করে সরকারি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এডিস মশার লার্ভা নিধনে নাগরিকদের নিজ নিজ বাড়ি ঘর আঙিনা ও এর আশপাশের কোথাও যেন তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মেয়র।
সাঈদ খোকন বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে সিটি করপোরেশনের হটলাইন নম্বর- ০৯৬১১০০০৯৯৯ এ ফোন করার আহ্বান জানান তিনি। হটলাইনে অপারেটররা আপনার বাসা-বাড়ি কিংবা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠিয়ে দেবেন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ ফেসবুকে তদারকি করা হবে।
মেয়র বলেন, ঈদের দিন নামাজের পর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়। এই বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। রাজধানীতে ঈদের পরদিন কিছু কোরবানি হয় ও তৃতীয় দিনও কিছু পশু কোরবানি হয়। দ্বিতীয় দিনে যে কোরবানি হবে তার বর্জ্য ওইদিন রাতে অপসারণ করা হবে এবং তৃতীয় দিনের বর্জ্য ওইদিনই অপসারণ করা হবে। গত বছরও আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সফল হয়েছিলাম।
তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি কোনো কারণে সম্ভব না হলে যেখানেই কোরবানি করবেন সেখানে পানি কিংবা রক্ত জমতে দেবেন না। পশুর রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে সেখানে ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সবাইকে বড় ব্যাগ দেওয়া হবে। সেই ব্যাগে বর্জ্য ঢুকিয়ে নির্ধারিত স্থানে রাখবেন। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবেন।
নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫টি পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থান হিসেবে ডিএসসিসি এলাকায় ৩৩৯টি কোরবানির নির্ধারিত স্থান রয়েছে। সেখানে প্যান্ডেল, পানি, ইমামসহ যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। নগরবাসী যদি ওইসব নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করেন তাহলে সিটি করপোরেশনের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হবে বলে জানান তিনি।