ঢাকা শুক্রবার, ১৬ই মে ২০২৫, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


উচ্ছেদের নোটিশ পেয়ে রাস্তায় নির্ঘুম রাত কাটালো বিহারীরা


৩১ জুলাই ২০১৯ ০৭:২৬

ডিএনসিসি আদালতের আদেশকে অমান্য করে ক্যাম্প উচ্ছেদের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে বিহারীরা। গতকাল উচ্ছেদের নোটিশ পেয়ে রাস্তায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন শতশত বিহারীরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১২ টা থেকে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী সেকশন ১১'র ৩ ও ৪ নং এভিনিউতেও হাজারো মানুষের জমায়েত দেখা যায়।

ইরানী ক্যাম্পের বাসিন্দা মোঃ সালামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গতকাল ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা বিহারীদের স্থাপিত দোকানে দোকানে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা সাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে যান। সে চিঠিতে ৩০ জুলাই ও ১ আগস্ট ৩ ও ৪ নং এভিনিউতে উচ্ছেদ চালাতে পুলিশি সহায়তা চাওয়া হয়। এরপর থেকেই ক্যাম্পবাসীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, গতকাল রাতে মিল্লাত ক্যাম্পের সামনে বিহারী নেতা মোঃ সাদাকাত খান ফাক্কু উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বক্তব্যে দিতে চাইলে সেখানে ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসে বিহারী নেতাদের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। বিহারী নেতা ফাক্কুও নান্নুকে ছাড় না দিয়ে ক্যাম্পবাসীদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন।

উর্দু স্পীকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্টের সভাপতি মোঃ সাদাকাত খান ফাক্কুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিরপুর ১০,১১ ও ১২'র ওয়ার্ড নং ২,৩ ও ৫ এ বিহারী স্থাপনা উচ্ছেদ না করতে আপিল বিভাগের আদেশ বহাল রয়েছে। এ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ক্যাম্প এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব না।

তিনি বলেন, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমাদের ক্যাম্প এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পুলিশ মোতায়েন চেয়ে মাননীয় পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে ডিএনসিসির মেয়র ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আমাদের দায়ের করা মামলায় বিবাদী রয়েছেন। আমরাও আদালতের আদেশের কপি সংযুক্ত করে মাননীয় পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি দিয়েছি। আমরা আশা করছি ডিএনসিসি ও প্রশাসন আপিল বিভাগের আদেশের মর্যাদা রক্ষা করবে।

যদি আদালতের আদেশ না মেনে অবৈধভাবে ক্যাম্প এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় তাহলে নাগরিক হিসেবে বিহারীরাও আদালতের আদেশের মর্যাদা রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।