গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি, ২১ বছরের রেকোর্ড ভঙ্গ

গাইবান্ধার বাদিয়াখালি থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রেললাইনে বন্যার পানি উঠায় লালমনিরহাট-বগুড়া-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে পাঁচটি ট্রেন। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই রুটের কয়েক হাজার যাত্রী।পার্বতীপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছে লালমনিরহাট-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন।
রেললাইনে বন্যার পানি উঠায় বুধবার দুপুর থেকে গাইবান্ধা হয়ে বগুড়া-ঢাকা রুটে বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল।লালমনিরহাট থেকে ঢাকা রুটের একমাত্র আন্তঃনগর‘লালমনি এক্সপ্রেস’ট্রেনটি পার্বতীপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছে।ফলে বামনডাঙ্গা-বগুড়া রুটের যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে পারেনি।বন্ধ রয়েছে লালমনিরহাট,গাইবান্ধা, বগুড়া-ঢাকা রুটে রেল যোগাযোগ।
এদিকে লালমনিরহাট-গাইবান্ধা-বগুড়া-ঢাকা রুটে রেল চলাচল বন্ধ থাকায় এ রুটের কয়েক হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছে। স্টেশনে আটকা পড়েছে যাত্রীরা।
রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজার মুহাম্মদ শফিকুর রহমান জানান, লালমনিরহাট-ঢাকা রেল রুটের গাইবান্ধা জেলার বাদিয়াখালি থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার লাইনের এক ফিট ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ধীরগতিতে বিলম্বে লালমনিরহাট পৌঁছেছে।
এরপর একই ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে আবারও যাত্রা করে রংপুরের কাউনিয়া স্টেশনে আটকে যায়।পরে রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের সিদ্ধান্ত মতে,রুট পরিবর্তন করে আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি কাউনিয়া হয়ে রংপুর দিয়ে পার্বতীপুর ঘুরে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে।একারণে বামনডাঙ্গা-বগুড়া রুটের যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে পারেনি।
এছাড়া একই কারণে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের পাঁচটি লোকাল ট্রেন গাইবান্ধা,বাদিয়াখালি ও বোনারপাড়া স্টেশনে আটকা পড়েছে।বন্যার পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত লালমনিরহাট-গাইবান্ধা-বগুড়া রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও তিনি জানান।
এছাড়া গাইবান্ধা জেলার পুলিশ লাইন সহ,মূলশহরের প্রতিটি রাস্তা হাটু পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এক কথায় গাইবান্ধা জেলার বন্যা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারন করেছে।