ঢাকা বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


ভোলায় ১০৩ টাকায় চাকরি হলো ২০৩ জনের


৬ জুলাই ২০১৯ ২২:৫৮

সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ এ কথাটা সবাই জানে তার পরেও ১০৩ টাকায় চাকরি হবে কথাটা বিশ্বাস হবার মত নয়। সেটাই প্রমাণ করে দিলেন ভোলার নবাগত পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। ২০৩ জনকে কনস্টেবল পদে চাকরি দিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছেন ভোলার সদ্য যোগদানকারী এই পুলিশ সুপার।

ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলে নিয়োগে কোন প্রকার অর্থ লেনদেন ছাড়াই স্বচ্ছতার মাধ্যমে শতভাগ মেধাবীদের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদান করায় মুগ্ধ ভোলার মানুষ। পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যাদের চাকরি হয়েছে তাদের অভিভাবকরা মনে করেন মেধা তালিকায় যদি স্বচ্ছ নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয় তাহলে বাংলাদেশের বেকারত্ব অনেক কমে যাবে এবং মানুষের আস্থা ফিরে আসবে সরকারের প্রশাসনের দিকে।

কনস্টেবল পদে মেধা দক্ষতা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি হবে এ ঘোষণা আগে থেকেই দেওয়া হয়েছে। মেধা তালিকায় পুলিশে চাকরি হবে কথাটা বিশ্বাস করে আগে থেকেই একবুক আশা নিয়ে পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে দাঁড়িয়ে আছেন ফলপ্রার্থী ছেলে-মেয়েরা। সবার চোখে-মুখে বিনয়ী ভাব। একে অপরের দিকে তাকাচ্ছেন বার বার। আরেক পাশে আছেন তাদের অভিভাবকরা। চূড়ান্তভাবে কারা হচ্ছেন নবীন পলিশ সদস্য সেই ফলাফল শোনার অপেক্ষায় সবাই।

গত ২ জুলাই ভোলার পুলিশ সুপারের সভাপতিত্বে সততার সাথে সকলের সহযোগিতায় শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ কার্যক্রম লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এতে সাধারণ (পুরুষ) ১২৭ জন, সাধারণ (নারী) ৪৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা (পুরুষ) ২৪ জন, মুক্তিযোদ্ধা (নারী) ৪ জন, পোষ্য ২ জন, আনসার ১জনসহ সর্বমোট ২০৩ জন পরীক্ষায় কৃতকার্যদের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

গত বৃস্পতিবার পুলিশ কনেস্টেবল পদে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় ভোলার পুলিস সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। এসময় তার সাথে ছিলেন আরেক সৎ মেধাবী এডিশনাল পুলিশ সুপার সাফিন মাহমুদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

পুলিশ সুপার বলেন, ভোলা জেলা পুলিশ কর্তৃক ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান মাননীয় আইজিপি মহোদয় এর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী শতভাগ সততার সাথে মেধা ভিত্তিক, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার সাথে ২০৩ টি পরিবারকে বিনা টাকায় চাকরি দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবারের সন্তান রয়েছেন।