ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


খাশোগি হত্যা: দায় যাচ্ছে যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ওপর


২১ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:১৭

ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেটের ভেতরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করার ঘটনায় সৌদি নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিশ্ব নেতারা। সেই সাথে এর দায় ভার যাচ্ছে যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ওপর।

নিখোঁজ হওয়ার ১৮ দিন পর রিয়াদ স্বীকার করলো যে, তুরস্কে তাদের কনস্যুলেটের ভেতরই তিনি নিহত হয়েছেন। সৌদি আরবের এই বিবৃতি নিয়ে তুরস্কসহ পশ্চিমা বিশ্ব সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

খাশোগির লাশ কোথায় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বনেতারা। বিভিন্ন দেশ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর দোষ চাপালেও দায় পড়তে যাচ্ছে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ওপর। এদিকে যুবরাজের ক্ষমতা হ্রাস করতে পারেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। যুবরাজের পদ থেকে সরিয়েও দিতে পারেন বলে গুঞ্জন চলছে। খবর সিএনএন, রয়টার্স ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের

সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার ১৮ দিন পর সৌদি আরব স্বীকার করলো যে, তুরস্কে তাদের কনস্যুলেটের ভেতরই তিনি নিহত হয়েছেন। সৌদি আরবের এই বিবৃতি নিয়ে তুরস্কসহ পশ্চিমা বিশ্ব সন্দেহ প্রকাশ করেছে। খাশোগির লাশ কোথায় তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন দেশ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর দোষ চাপালেও দায় পড়তে যাচ্ছে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ওপর। এদিকে যুবরাজের ক্ষমতায় কাটছাঁট করতে পারেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। এমনকি দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় পদ থেকে সরিয়েও দিতে পারেন বলে গুঞ্জন চলছে। খবর সিএনএন, রয়টার্স ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের

সৌদি আরবের শাসকরা গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ওপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা করছেন। রাজপরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত তিনটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। যুবরাজের ক্ষমতার মূল কেন্দ্রে আছেন উপদেষ্টা মেজর জেনারেল আহমেদ আল-আসিরি। ইয়েমেনে সৌদি আরবের যুদ্ধ জড়ানোর ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেন আসিরি। সৌদ আল কাহতানি প্রিন্স বিন সালমানের যোগাযোগ উপদেষ্টা।

টুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখের উপরে। আল আসিরি ও কাহতানিসহ ৫ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে। বাকি তিনজন হলেন- মোহাম্মদ বিন সালেহ আল-রামিহ, আব্দুল্লাহ বিন খলিফা আল-শাহহি এবং রাশাদ বিন হামেদ আল মোহাম্মাদি। আরো ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

সৌদি রাজপরিবারের পাঁচটি সূত্র জানিয়েছে, খাশোগির মৃত্যুর ঘটনায় বাদশাহ সালমান ছেলে যুবরাজ বিন সালমানের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছেন। জানা গেছে, যুবরাজ চেয়েছিলেন খাশোগির নিহতের বিষয়টি যাতে বাদশাহ না জানতে পারেন। কিন্তু সৌদি আরবের মিডিয়ায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তা দেখেন বাদশাহ। মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে সহযোগী এবং যুবরাজকে জিজ্ঞাসা করেন বাদশাহ।

যুবরাজ বাদশাহকে হস্তক্ষেপ করার আহবান জানান। কিন্তু মিডিয়ায় যুবরাজকেই দায়ী করা হচ্ছে খাশোগির নিহত হওয়ার ঘটনায়। বাদশাহ দক্ষতার জন্যই ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ পদে বসিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বে সৌদি আরবের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য তিনি ছেলেকে তার পদ থেকে সরিয়েও দিতে পারেন বলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

খাশোগিকে হত্যার জন্য সৌদি যুবরাজকে দায়ী করেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এম১৬ এর সাবেক প্রধান স্যার জন সাওয়ির। শুক্রবার সাওয়ির বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি সামরিক বাহিনীর দুর্বৃত্তদের দায়ী করার তত্ত্বটি কেবলই গল্প।

এসএমএন