ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


মানুষ অভাবমুক্ত হয় যে কাজে


৩১ আগস্ট ২০১৮ ১৭:২৭

আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন সন্তান, সম্পদ, সম্মান দিয়ে।সেই সাথে যুক্ত হয় দুর্যোগ-ভয়। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদের জন্য রয়েছে সু-সংবাদ।অভাবমুক্ত থাকা হলো দুনিয়ার সর্বোত্তম সফলতা ।

তাই আল্লাহ তাআলা মানুষকে সব সময় তার বিধান যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। ইবাদত-বন্দেগিতে ব্যস্ততা না করে সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক ও সুন্দর ভাবে নির্ধাররিত ইবাদত পালন করে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও স্বচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবন লাভে করা যায়। পাশাপাশি আখিরাতের সফলতা লাভ করা খুবই প্রয়োজন।

হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ(স:) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন- হে মানব সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি সকল ব্যাস্ততা পরিহার করো ও ইবাদতে মন দাও, তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্যকে দূর করে দেব। আর যদি তা না কর, তবে- তোমার কাজকে বাড়িয়ে দেব এবং তোমার অভাবমুক্ত হবে না। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

সুতরাং যারা মৌলিক ইবাদত-বন্দেগিসহ আল্লাহর বিধি-বিধান পালনে ব্যস্ততা দেখায়, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে কাজকে বাড়িয়ে দেন এবং কখনোই তারা অভাবমুক্ত হয় না।

তাই ইবাদত বন্দেগির জন্য সময় বের করাই মুমিনের প্রধান দায়ীত্ব। এ সময়ে একনিষ্ঠতার সঙ্গে দ্বীনের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করা জরুরি।

দুনিয়ার প্রতিটি কাজই যেন ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয় সেভাবে সে ভাবে জীবন যাপন করা মুমিনের কর্তব্য।