এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমিন।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৭ মিনিটে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এরপর যোগাযোগ করা হলে যমুনা নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এনসিপির এই যুগ্ম আহবায়ক। তবে তিনি এনসিপি ছাড়ছেন না এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীও হচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে মনিরা লেখেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি ছিল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থী রাজনীতির ভরসাস্থল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-৫ আসনে আমি মনোনীত প্রার্থী হয়েছিলাম। তবে মনোনয়নপত্র পাওয়ার আগে আমার জানা ছিল না যে, দল জামায়াতের সাথে ৩০টি আসনে সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে এককভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন দলের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আমি ভঙ্গ করিনি। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের চেয়ে গণঅভ্যুত্থান ও দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা আমার কাছে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্রাউড ফান্ডিং বিষয়ে মনিরা লেখেন, আমি কিছুদিন আগে ক্রাউড ফান্ডিং করে নির্বাচনের অনুদান নিয়েছি। আমাকে যারা অনুদান দিয়েছেন, তারা এনসিপির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অবস্থান দেখে ডোনেট করেছেন। যারা নিজেদের ডোনেশন ফেরত চান, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। সেই সংখ্যাটা ১ জন হলেও আমার দায়বদ্ধতা হলো অনুদানের অর্থ ফেরত দেয়া। আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুদানের অর্থ ফেরত দেব।
পদত্যাগের বিষয়ে এনসিপি নেত্রী বলেন, আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। এনসিপি কারও একার সম্পত্তি নয়। এটি শীর্ষ নেতৃত্বের যতোখানি, তার চেয়ে অনেক বেশি আমার।
