ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ই পৌষ ১৪৩২


তারেক রহমানের উপস্থিতিতে আরও সংগঠিত হবে বিএনপি, বুঝতে হবে নতুন প্রজন্মের ভাষা মত বিশ্লেষকদের


২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:২২

সংগৃহীত

ওয়ান-ইলেভেনের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে প্রথমে গ্রেফতার হন তারেক রহমান। এরপর ১৮ মাস কারাবরণের পর রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাকে দেশ ছাড়তে হয়। সে সময় থেকেই বিএনপি দীর্ঘ অনিশ্চয়তায় পড়ে। এরপর ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবন শুরু হয়।

 

একদিকে খালেদা জিয়ার কারাবাস ও অসুস্থতা এবং অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সরাসরি রাজনীতি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই সময় দলটি নতুন এক বাস্তবতায় অভ্যস্ত হয়। দেশের বাইরে থেকে দল পরিচালনা করেন তারেক রহমান। ভার্চুয়াল নির্দেশনায়ই দলীয় রাজনীতি চলতে থাকে। এই বাস্তবতায় আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিল দলটির লাখো নেতাকর্মী। তবে সিদ্ধান্তগুলো তৃণমূলে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন ও সংশয়ও ছিল।

 

নেতাকর্মীদের ভাষ্য, তারেক রহমানের দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে সব অপশক্তি দূর হয়ে যাবে। তার নেতৃত্বে ভবিষ্যতেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। তিনি একটি তারুণ্যনির্ভর ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানাবেন। এর মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ হবে।

 

এদিকে, গতবছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য এটি আবেগঘন এক মুহূর্ত। তবে নেতা ফিরলেও বিএনপি সেই নেতৃত্ব বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত কি না সেই প্রশ্নও রয়েছে।

 

রাজনীতি বিশ্লেষক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, তারেক রহমানের শারীরিক উপস্থিতি দলকে আরও সংগঠিত করবে। 

 

অন্যদিকে, তারেক রহমানের এই ১৮ বছরে একটি প্রজন্ম বদলে গেছে। যে প্রজন্মের হাত ধরে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ ও তার সরকারের পতন হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক ভাষা ও প্রত্যাশা বোঝাই তারেক রহমানের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

 

রাজনীতি বিশ্লেষক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, চব্বিশকে সামনে রেখেই তারেক রহমানকে চলতে হবে। দেশকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলাই হবে চ্যালেঞ্জ। এটা করতে হলে সামন্তবাদী রাজনীতিক সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে।   

 

বিশ্লেষকদের মতে, ১৮ বছরে তারেক রহমান অনেক বেশি পরিণত হয়েছেন। এখন দলের ভেতরে কাঠামোগত ও মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। তার প্রত্যাবর্তনই সেই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হবে।

 

সাব্বীর আহমেদ আরও বলেন, তারেক রহমান ইউরোপের রাজনীতি সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছেন। তিনি দলকে নতুন সময়ে প্রেক্ষাপটে সাজাবেন এটা কাঙ্ক্ষিত। যখন নেতার বদল হয় না তখন দলেরও কোনও পরিবর্তন হয় না।

 

এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মানে শুধু নেতা হিসেবে তারেক রহমানের নয়, দল হিসেবে নতুন করে জনতার সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে বিএনপি।