ডঃ কামাল-মন্টুর পাল্টাপাল্টি ইফতার

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু একই দিনে (আগামী ২৬ মে) রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে পাল্টাপাল্টি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছেন।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ড. কামাল হোসেনের ইফতার মাহফিলে না গিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে পারেন এমন আভাসও মিলছে।
একাদশ নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে গণফোরামের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি ও গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুজন এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খানের শপথগ্রহণ নিয়ে কামাল হোসেন ও মন্টুর সম্পর্কে চির ধরতে থাকে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গত ৫ মে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মন্টুকে বাদ দিয়ে রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করার মধ্য দিয়ে।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে যোগ দেননি সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তার অনুপস্থিতিতে ঘোষিত নির্বাহী কমিটিতে তাকে না রেখে দলের সাধারণ সদস্য হিসেবে তার নাম রাখা হয়। সেই থেকে গণফোরামের সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন মন্টু।
অপরদিকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খানের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া ও গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে মোকাব্বির খানের যোগদানের প্রতিবাদ করেন গণফোরামের তৎকালীন প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক। ২৬ মে কাউন্সিল শুরুর পরপরই মোকাব্বির খানকে মঞ্চে দেখেই মঞ্চ থেকে নেমে যান পথিক। এজন্য তিনি ড. কামাল হোসেনকে সরাসরি দায়ী করে মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ৫ মে ঘোষিত কমিটিতে রাখা হয়নি পথিককে।
ইফতার মাহফিলের আয়োজন বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, আমি একান্ত ব্যক্তিগত ও অরাজনৈতিকভাবে কিছু লোকজনকে নিয়ে এই ইফতারের আয়োজন করবো। তবে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও ঐক্যফ্রন্টের মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রবসহ কয়েকজনকে দাওয়াত দেওয়া হবে। এছাড়া গত নির্বাচনে যারা আমার সঙ্গে কাজ করেছেন তাদেরও দাওয়াত দিয়েছি।
গণফোরাম ও আপনি একই দিনে ইফতার মাহফিল কেন করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্টু বলেন, তারিখটি আমি আগেই ঠিক করেছিলাম। তারা (গণফোরাম) পরে করেছে।
নতুন কোনো দলের ঘোষণা ইফতার মাহফিল থেকে দেবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত না। দেশের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।
গণফোরামের যারা কমিটিতে আছেন তারা আপনার দলে যোগ দেবেন কি না জানতে চাইলে মন্টু বলেন, আমি ডাকলে অনেকেই আসবেন। এমনকি প্রেসিডিয়ামের ১০/১২ জন নেতা চলে আসবেন। তবে আপাতত সেরকম কিছু ভাবছি না।
শুনলাম বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ড. কামাল হোসেনের ইফতার মাহফিলে না গিয়ে আপনার ওখানে যেতে পারেন এ বিষয়টা কতখানি সত্য? জবাবে মন্টু বলেন, দেখা যাক কি হয়।
নতুনসময়/এনএইচ