ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


যে ৭ ছাড়ে ঐক্যের পথে বিএনপি


১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫০

গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি বৃহত্তর ঐক্যে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত রোববার ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়। গতকাল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানদের বৈঠকেও ঐক্যে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। দুটি বৈঠকেই বিএনপি নেতারা বলেছেন, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও বৃহত্তর স্বার্থে এই ঐক্যে যেতে চায় বিএনপি।’ বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে জাতীয় ঐক্যে যাচ্ছি।’

রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন বিএনপি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার কিংবা ছাড় দেওয়া বলতে কি বোঝাতে চাইছে। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি ৭ টি ছাড় বিবেচনা করছে। এই ৭ টি ছাড় দিয়েই তারা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে যেতে চায়। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে যে ছাড় নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো:

১. জাতীয় ঐক্যের একমাত্র ইস্যু হবে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের নূন্যতম দাবিতে বিএনপি ঐক্যে যাবে। যেখানে বেগম জিয়ার মুক্তি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ইত্যাদি বিএনপির কোনো দলীয় দাবিই থাকবে না।

২ বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের নেতৃত্ব বিএনপি নেবে না। ড. কামাল হোসেন অথবা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী যে কারও নেতৃত্ব মেনে নিয়েই বিএনপি ঐক্যে যাবে।

৩. বৃহত্তর ঐক্য গঠিত হলে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নিষ্ক্রিয় হবে। তবে জোটের অন্তর্ভুক্ত এলডিপি, বিজেপি এবং কল্যাণ পার্টি জাতীয় ঐক্যে যাবে।

৪. আন্দোলন সফল হলে বা ঐক্যবদ্ধ ভাবে নির্বাচনে যাবার সিদ্ধান্ত হলে বিএনপি ১২৫টি আসন পর্যন্ত ঐক্যের অন্য শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দেবে।

৫. বৃহত্তর ঐক্য ক্ষমতায় গেলে প্রথম দুই বছর বিএনপি সরকার চালাবে না। ড. কামাল হোসেন বা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারকে বিএনপি সমর্থন দেবে।

৬. বিএনপি বৃহত্তর ঐক্যের শেষ তিন বছর দেশ পরিচালনা করবে। তবে দেশ পরিচালনায় জাতীয় ঐক্যের কর্মসূচিই শুধু পালন করবে। দলীয় নীতি সরকার পরিচালনায় চাপাবে না।

৭. বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া দুজনের কেউই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সরকারে থাকবে না। ৫ বছর পর নির্বাচনে তাঁরা থাকতে পারেন।

এসএ