সিরাজদিখানে তৃতীয়বারের মত উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন হাজী মহিউদ্দিন

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মহিউদ্দিন আহমেদ তৃতীয় বারের মত উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী মহিউদ্দিন আহমেদ ও কুলা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন বিকল্পধারার বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। কোনোপ্রকার সহিংসতা ছাড়াই সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২২২৩১৯ জন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী মহিউদ্দিন আহমেদ নৌকা প্রতীক ৮৬৩৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারার বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কুলা প্রতীকে ২৪৭৭ ভোট পেয়েছেন। এই নির্বাচনে ৮৯৫৫৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
নৌকা প্রতীকে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মালখানগর ইউনিয়নের পাচ বারের নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ এর তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
তিনি ১৯৮৪ সালে মালখানাগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়। তরুন বয়সে বি কম পাশ করার পর, তার এলাকায় জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠে। পাচ বার একটানা তিনি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর দায়িত্ব পালন করে অদ্যবদি সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন । জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় একক মনোনয়ন প্রর্তাশী ছিলেন, কিন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান থাকায় তিনি সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে পারেন নাই, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক, সহধর্মিণী সানজিদা আক্তার মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তার বর ছেলে আনিছুর রহমান রিয়াদ ইসলামপুরের ব্যবসায়ী ছোট ছেলে রিফাত একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত, একমাত্র মেয়ে সিনথিয়া আক্তার বাধঁন ব্যাংক এশিয়ায় কর্মরত। ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদক পান।
সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় এই নেতাকে নিয়ে সকাল থেকেই সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে সিরাজদিখান উপজেলার ভোটের চিত্র ছিল একেবারে ভিন্ন। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।