ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


জিয়া বাকশালের নেতা হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন : হানিফ


১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৬

ছবি সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও বাকশালের নেতা হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সরকার বাকশাল কায়েম করতে চাচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, বাকশাল কর্মসূচি অভিষ্যতে আসবে কি আসবে না সে সম্পর্কে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি বা এই ধরনের কথা কেউ বলিনি। কিন্তু জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সেই সময়ে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জাতি যদি একই প্লাটফর্মে থাকে ঐক্যবদ্ধ থাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সব উন্নয়ন তরান্বিত হয়। সেই লক্ষ্য নিয়ে সেই সময়ে তিনি এটা করতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে তিনি এটা করেছিলেন। ফখরুল সাহেবরা বাকাশালের বিরুদ্ধে বলছেন, ওনার নেতাও বাকশালের নেতা হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। যদিও ওনার আরেক নেতা মিথ্যাচার করেছেন, বলছেন তিনি আবেদন করেন নি। তবে এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারন নেই। বাকশার কোনো সংগঠন নয়। এটা একটা কনসেপ্ট।

এক বছরের মধ্যে সুষ্ঠু ভোট চেয়ে ড. কামাল যে দাবি করেছেন তার জবাব জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় সংষদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে, আবার নির্বাচন চাইলে এর জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। যখন নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে তখন হয়তো নির্বাচন কমিশন ওনার পরামর্শ বিবেচনায় আনবেন। কিন্তু সেই পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে। এই মুহূর্তে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মেয়াদ পাঁচ বছর। এই সময়ের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তা বলে কোনো লাভ হবে না। এটা নিয়ে দেশবাসী কোনো কথা শুনতে চায়না। উনি মাঝে মধে যে কাগুজে হুঙ্কার দেন, উনি বয়সের কারনে ভুলে গেলেও জাতি জানে উনি কোনো নির্বাচন করে জয়ী হতে পারেন নি। উনি একবারই সংসদে এসেছিলেন সটাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আসনটি আসন ছেড়ে দিয়ে তাকে সংসদে এনেছিলেন। যিনি কখনো জনগণের আস্থা অর্জণ করতে পারেন নি, তার এই ধরনের হুঙ্কার জনগণ কিছু মনে করে না।

বর্তমান সরকারের সময়ে ফায়ার সার্ভিসের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে হানিফ বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের সরকার গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের যে উন্নয়ন হয়েছে, অতীতে এর সিকি ভাগ উন্নয়নও ছিলো না। ২০০৯ সালে সারা দেশে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ছিলো ২০৪টি, জনবল ছিলো ৪হাজার ৩ শ৭৭টি। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৪০২টি স্টেশন এবং বিদ্যমান জনবলের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৮০টিতে উন্নয়ণ করা হয়েছে। প্রায় দ্বিগুনোর বেশি সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া অত্যাধুনিক আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসকে আরও আধুনিকায়ন করার জন্য একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার বিষয়ে কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সমস্ত দুর্ঘটনায় কারো কাজে গাফিলতি থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা নেয়া হবে। একই সাথে এই ঘটনা ঘটার পেছনে কারো দুরভীসন্ধি রয়েছে কিনা সেটাও ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদ রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, রিয়াজুল কবির কাউসার, মারুফা আক্তার পপি, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

নতুনসময় / আইআর