‘জামায়াতের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাও আছেন’

চট্টগ্রাম-৬ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। জয়পুরহাট-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আরেক মানবতাবিরোধী অপরাধী আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলছেন, ‘আমরা তো বলেছি কোনো যুদ্ধাপরাধীকে আমাদের প্রতীক দেব না। কেউ যুদ্ধাপরাধ না কইরা থাকলে তাকে দিতে অসুবিধা কী? জামায়াতের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাও আছেন।’
আরেক দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদীকে পিরোজপুর-১ আসনে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। আবার মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা জামায়াতে ইসলামীকে এবার ধানের শীষ প্রতীক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে যে কয়টি দল দখলদারদের সঙ্গে হাত মেলায়, তার একটি নাম জামায়াত। সে সময় পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির গোলাম আযম পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সমর্থন করতে রেডিওতে ভাষণ দেন। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গড়ে তোলে রাজাকার নামে একটি বাহিনী। তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ গড়ে তোলে আলবদর বাহিনী, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে এরই মধ্যে আলবদর বাহিনীর শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ঝুলেছেন আবদুল কাদের মোল্লাও। আরও দুই নেতার ফাঁসির দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল চলমান। আর আমরণ কারাদণ্ড ভোগ করছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া গোলাম আযম মারা গেছেন বন্দী অবস্থায়।
১৯৯৯ সালে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয় বিএনপি। এ পর্যন্ত দুটি নির্বাচন তারা করেছে একসঙ্গে। একটি বর্জনও করেছে দুই দল।
২০০১ এবং ২০০৮ সালে জামায়াতকে ৩৫টি করে আসনে ছাড় দিয়ে সেখানে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। তবে জামায়াত ভোট করেছে তাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায়।
তবে দলটি নিবন্ধন হারিয়েছে পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক ভোটে ব্যবহারেও এসেছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে জামায়াতের দলীয়ভাবে ভোট করার সুযোগ নেই। শুরুতে দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানোর কথা জানালেও শেস পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারা ধানের শীষেই ভোট করবে।
এমএ