ফখরুলের প্রশ্নের জবাব দিলেন কাদের

জেলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচারে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জেলে বিশেষ ব্যবস্থায় কেন করা যাবে না?
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জেলে বিশেষ ব্যবস্থা করে বিচার করা যাবে না। এটা কি সংবিধানের কোথায়ও আছে? আর এটাতে মির্জা ফখরুল সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন কি কারণে বলেছেন? সংবিধানের কোথায় লেখা আছে যে এই ধরনের আদালত বসতে পারবে না?
তিনি বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে তারা কথা বলেছেন যে, কারাগারের মধ্যে কোর্ট বসানো যাবে না। এটা তো চালু করেছেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। কর্নেল তাহেরকে জেলে কোর্ট বসিয়ে ফাঁসি দিয়েছিলেন। এটা কি ভুলে গেছে বিএনপি? কিভাবে কর্নেল তাহেরর ফাঁসি হয়েছিল? কোথায় হয়ছিল? এটা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে জেলের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা করা যাবেনা।
বিএনপি চেয়ারপার্স বেগম জিয়ার বয়স বিবেচনায় কারাগারে কোর্ট বসানো হয়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি মনে করেন, বয়স বিবেচনায় তার পক্ষে কোর্টে মুভ করা সব সময় স্বম্ভব হচ্ছে না। জিয়া চ্যারিটেবলের যে মামলা সেই মামলা তো তিনি হাজিরায় দিচ্ছিলেন না। এমতাবস্থায় তাকে হাজিরা দেয়া সুবিধা করে দেয়ায় কারণ হিসাবে বলা হয় অসুস্থ।
কাদের বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ১০ বছর বিলম্বিত করেছে। এ মামলা অনেক আগেই সেটেল হয়ে যেত। এখানে সরকারের কোন দোষ নেই। সরকার চেয়েছিল মামলাটা যতদ্রুত নিষ্পত্তি হোক। কিন্ত বিএনপির বহুরূপী এতো বিজ্ঞ অভিজ্ঞ আইনজীবীরা কেসটা ১০ বছর ধরে চালিয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, যুব লীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার।
এসএ