কাদের মির্জার গায়ে হাত পুলিশের!

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লাইভে কাদের মির্জা বলেন, পুলিশ আমার ৭ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করে। সকালের দিকে খবর পেয়ে আমি তাদের দেখতে যাই। তাদের অবস্থা ভালো ছিল না। ফেরার পথে আমাদের ওপর আক্রমণ করেন অ্যাডিশনাল এসপি। তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দশবার করে বলেছি, আমি ডিএস মর্যাদার। তুমি আমার গায়ে হাত দিচ্ছো কেন? তিনি এরপরও আমার গায়ে হাত দিয়েছে। এদিকে ওসি আমার সহকারী সাজুকে মারধর করেছে। তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।
কাদের মির্জা আরও বলেন, এরপর ফেরত আসার পথে অ্যাডিশনাল এসপি ওসিসহ পুলিশ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।
তবে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদ এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘কাদের মির্জা থানায় গিয়ে সরাসরি থানার হাজতের সামনে চলে যান। আমি শুধু তাকে বলেছি, আপনি ওসির রুমে আসেন। এছাড়া আর কোনও কথা হয়নি এবং কারো গায়ে হাত তোলাও হয়নি।’
এদিকে কাদের মির্জার ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে পরিচিত নাজিম উদ্দিন মিকনসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক অপর দুজন হলেন- মিকনের সহযোগী নুর উদ্দিন খাজা ও একরাম উদ্দিন। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ভোরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী কবিরহাট বাজারের পাশের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।