করোনা ভ্যাকসিন দ্রুত প্রাপ্তির ব্যাপারে সরকার সকল প্রস্তুতি নিয়েছে : সেতুমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক বাজারে করোনা ভ্যাকসিন আসা মাত্রই বাংলাদেশের জনগণ যাতে সহজেই পায়, সে ব্যাপারে সরকার সকল প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রাপ্তিকে সহজ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের নাগালে পৌঁছে দিতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যাকসিন আসা মাত্রই দেশের জনগণ যাতে পায় সে ব্যাপারে সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কর্মরত চিকিৎসকদের মাঝে উন্নতমানের এন-৯৫ ও সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জনগণের মাঝে সচেতনমূলক ক্যাম্পেইন করারও নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায় বলা মুশকিল, তবুও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছেন। আপনারা জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করুন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, একটি অশুভ মহল বৈশ্বিক মহামারির এই মানবিক সংকটকে পুঁজি না করলে পরিস্থিতি মোকাবেলা আরো সহজতর হতো এবং জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি অনেকটা কম হতো। জনগণকে এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিএনপি মহাসচিব সম্প্রতি রাজধানীর তিনটি বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে রহস্যজনক বলে যে দাবি করেছেন, সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক তো বটেই। তবে এ রহস্যের পিছনে কারা আছে সেটা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশের শান্তি বিনষ্টের কোনো ষড়যন্ত্র অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আছে কি-না সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, এই ঘটনা স্বাভাবিক নাকি নাশকতা এবং এর সাথে যারাই জড়িত তাদের কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। বিএনপি নিজেরা আগুন সন্ত্রাস করে সরকারের ওপর দোষ চাপায়, কাজেই অগ্নিসংযোগ ঘটনাও তারা যত দোষ নন্দ ঘোষের ওপর চাপানোর পুরনো অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে।
ধানমন্ডি প্রান্তে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা এবং উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
সূত্র : বাসস