সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা

২২টি শর্ত দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। প্রদত্ত ২২ শর্তের মধ্যে একটি হলো-ব্যানার-ফেস্টুনের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি, রড আনা যাবে না। কিন্তু সকাল থেকেই সমাবেশ স্থলে জমায়েত হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা ব্যানার-ফেস্টুনের আড়ালে লাঠিসোটা, বাঁশ লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দেয়া এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ভঙ্গ করেই সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপি।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপির নিজস্ব সঙ্গীত বলে পরিচিত ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হওয়ার পরে বিভিন্ন প্রেমমূলক ও বিরহের গান বাজানো হয়।
সমাবেশ শুরু হলেও বেলা একটা পর্যন্ত বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাউকেই মঞ্চে লক্ষ্য করা যায়নি। এই সমাবেশের প্রধান অতিথি করা হয়েছে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টার পর থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন।
বিএনপি থেকে বলা হয়েছে, জনসভা থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে সেকারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ, মৎস্যভবন মোড়সহ উদ্যানের আশপাশে সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
২৭ সেপ্টেম্বর মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কর্মসূচির বিষয়টি বিবেচনা করে সমাবেশ পেছানোর অনুরোধ করে পুলিশ। পরে বিএনপি সমাবেশ পিছিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর অনুমতি চাইলেও একই দিন রাজধানীতে ১৪ দলের কর্মীসভা থাকায় পুলিশের অনুমতি মেলেনি। অবশেষে ২২ শর্তে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করার অনুমতি তারেক-ফখরুলের এ দলটি।
এমএ