ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২


ছাত্রলীগ আতঙ্ক ‘নয়’ প্রত্যাশা


২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:৩৭

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থাকবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধার কথা বিবেচনা করে রাজনীতি করে যাবে। ছাত্রলীগ মানুষের আতঙ্কের নাম হবে না। ছাত্রলীগ হবে প্রত্যাশার নাম। এভাবেই নতুন সময়কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নতুন সময়ের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শেখ হারুন অর রশিদ-

নতুন সময়ঃ মহানগর ছাত্রলীগকে কেমন দেখতে চান?

নগর ছাত্রলীগ সভাপতিঃ অন্য দশটা মানুষের মতোই তাদের চলতে হবে। যদি সম্ভব হয় অন্যদের চেয়ে আরও বেশি বিনয়ী হতে হবে। মোটর বাইকে ছাত্রলীগের স্টিকার লাগিয়ে চলতে দেওয়া হবে না।

নতুন সময়ঃ কারা ছাত্রলীগ করবে?

নগর ছাত্রলীগ সভাপতিঃ শিক্ষার্থীই ছাত্রলীগ করতে পারবে এমনটা নয়। তার অতীত ইতিহাস, পারিবারিক পরিচিতি, মেধা ও প্রজ্ঞা তথা একজন পরিচ্ছন মেধাবী শিক্ষার্থীই কেবল ছাত্রলীগ করতে পারবে। এরজন্য আমার যেরকম পরীক্ষা করা দরকার তা করেই ছাত্রলীগের ব্যানারের নিচে আনবো।

নতুন সময়ঃ আগামী নির্বাচনের কোনো প্রতিবন্ধকতা আসলে কীভাবে তা মোকাবেলা করা হবে?

নগর ছাত্রলীগ সভাপতিঃ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে বদ্ধপরিকর। আমরা রাষ্ট্র অনুমোদিত যেকোনো রাজনৈতিক দলের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনকে অতীতের মতোই স্বাগত জানাবো। রাজনীতির নামে যদি কেউ জ্বালাও পোড়াও করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে নেত্রীর নির্দেশনায় আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

নতুন সময়ঃ ছাত্রলীগের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ দিচ্ছেন?

নগর ছাত্রলীগ সভাপতিঃ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী যদি মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগ করতে হলে তাদের মাথায় থাকতে হবে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য অতঃপর দেশ ও মানুষের জন্য সংগঠনটির অগ্রযাত্রার কথা। তাদের মনে রাখতে হবে ছাত্রলীগের প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা। মানুষের পক্ষে এবং অমানুষের বিপরীতে থেকেই আমরা রাজনীতি করে যাবো।

নতুন সময়ঃ প্রশ্নপত্র ফাঁস, তদবির, চাঁদাবাজি এসব ঘটনায় ইতোপূর্বে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী পত্রিকার নিউজ হয়েছেন। এ থেকে এই কমিটির উত্তরণ কীভাবে?

নগর ছাত্রলীগ সভাপতিঃ একটা বিষয় ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কিছুদিন আগে যে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। এতে ছাত্রলীগ কী ভূমিকা রেখেছে। তাদের দ্রুত হলে যাওয়ার জন্য নিদের্শনা, মোটর বাইক দিয়ে দ্রুত পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেওয়া, তাদের ব্যাগ, বই, ঘড়িসহ বাড়ি থেকে নিয়ে আসা জিনিপত্র দায়িত্বের সঙ্গে জমা রাখা, পরীক্ষার্থীদের মাঝে পানি সরবরাহ করা, ঢাকার বাইরে থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থাসহ নানা কাজ করেছে ছাত্রলীগ।

আর এই পরীক্ষায় কেউ প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়নি। আশা করছি আর কেউ এই প্রশ্নও তুলতে পারবেও না। আর আমরা আপনি যে অভিযোগ গুলোর কথা বললেন তার প্রমাণ পাওয়া মাত্র সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধের মাত্রা বেশি হয়ে শুধু সংগঠন থেকে বহিস্কার করেই আমরা দায়িত্ব শেষ করবো না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তুলে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবো।


এসএ