ভাড়াটে খেলোয়াড় দিয়ে নির্বাচনে জয় পাওয়া সম্ভব নয়: নাসিম

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বধানী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে ১৪দলের মূখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমরা এতদিন দেখেছি খেলার সময় খেলোয়াড় ভাড়া করা হয় এখন দেখছি ড. কামাল হোসেনের মত নেতারাও ভাড়ায় যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে খেলবেন খেলেন কোন সমস্যা নেই ভাড়াটে খেলোয়াড় দিয়ে কি কখনো জয় পাওয়া যায়? যায় না । যাদের নিজেদেরই কোন অস্তিত্ব নেই তারা অন্য দলে গিয়ে কি অস্তিত্ব পাবে।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহানগর ১৪ দলের সমাবেশ প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
যারা জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দিচ্ছে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা নেই জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা (যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা) বর্ণচোরা, আপনাদের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা নেই। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের কর্মীদেরও আপনাদের প্রতি আস্থা নেই।
নির্বাচন বানচালের কোন চেষ্টা সফল হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে যে কোন দল অংশগ্রহণ করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক হলো, ঐ সমস্ত চেনা মুখগুলো যখন গণতন্ত্রের কথা বলে মাঠে নামে এদেশের মানুষের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়। যখনই এদেশে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই হয়েছে, এই চেনা মুখগুলো নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নামে সেনাবাহিনীকে উত্তেজিত করা হচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সেনাবাহিনীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সকলের মনে আছে ২০০১ সালে কিভাবে একটি দলকে পরাজিত করার চক্রান্ত করা হয়েছিল। পৃথিবীর কোন দেশে তাদের সেনাবাহিনীকে এভাবে ব্যবহার করেনি। আমরা দেখেছি কিভাবে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে অতীতে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কাজ করবে। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের অযৌক্তিক দাবি তুলে বিএনপি নির্বাচনী মাঠ গরম করতে চাইছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে তো আছে মাত্র তিন মাস। অল্প কিছুদিনেই হয়তো নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সিডিউল ডিক্লিয়ার করবে। তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। সেখানে তথাকথিত কেউ নয়, কেন বিভিন্ন দফা, লক্ষ্য ঘোষণা করছে প্রশ্ন করেন তিনি।
আইএমটি