এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে রাজি ড. কামাল

নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনকারি বিএনপি যখন নবগঠিত বিরোধী রাজনৈতিক জোটে যোগ দিয়েছে, তখন বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামো এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে নীতিগতভাবে রাজি থাকার কথা বলেছেন জোটের মূল উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন। সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তবে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে নবগঠিত জোটের শরীকদের সঙ্গে কোন কথা হয়নি। এটি শুধুই তার দলের অবস্থান।
তিনি বলেন, ‘এটা একটা সিম্পল প্রভিশন। আমি মনে করি সবাই এটা বলতে দ্বিধা করবেন না। তবে এরকম কোন সিদ্ধান্ত আমরা বসে নেইনি।’
কামাল হোসেন বলেন, যারা সরকারে থাকবে, নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তাদের দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন এটা রেফারি হিসেবে পরিচালনা করবে। কেউ যদি নিরপেক্ষতা থেকে সরে যায় তারা সেটা চিহ্নিত করবে এবং এটাকে অবৈধ বলবে। এগুলোতো ইলেকশন আইনেই আছে।’
গত শনিবার জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে জোটের প্রথম যে সমাবেশ হয়, সেখানে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সে সব দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে জোটের সদস্য গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন জানান যে, তাদের এই জোট কোন নির্বাচনী জোট নয়। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই শুধু তারা একজোট হয়েছেন।
‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জোট। যেকারণে এটা দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে।’
কিন্তু সরকারকে বিপদে ফেলে বিএনপিকে মাঠে নামার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই জোট করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে আসা এমন সমালোচনার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘উনাদের আশ্বস্ত করতে পারেন যে, এ রকম কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে এই জোট। সরকারও এই জোটে আসতে পারে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী ধরণের পূর্বশর্ত তারা সরকারকে দিচ্ছেন? এই প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘ভোটার লিস্ট নিরপেক্ষভাবে করতে হবে। ভোটার লিষ্ট অনুয়ায়ী সবার ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।’
সূত্র: বিবিসি বাংলা
আরকেএইচ