আশুলিয়ায় শ্রমিক লীগ নেতা মোক্তার মুন্সী গ্রেফতার

জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির ধামসোনা ইউনিয়ন শাখা কমিটির সভাপতি মোঃ মোক্তার হোসেন মুন্সীও বাংলাদেশ ট্রেস্টাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ আল মামুন ইসলাম কে মারধর ও অফিস ভাংচুরের অভিযোগে মানববন্ধন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আকবর হোসেন মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ ইমাম হোসেন সহ সকল সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়
তার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটি কার্যালয় একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তাদের বক্তব্যে বলা হয় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৮/১২/২০১৯ ইং তারিখ সন্ধ্যায় জাতীয় শ্রমিক লীগ ধামসোনা ইউনিয়ন শাখা কমিটির সভাপতি মোক্তার হোসেন মুন্সী ও আশুলিয়ায় শ্রমিক নেতা মো. আল মামুনের মধ্যে বাগ বিতর্কিত ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আকবর হোসেন মৃধা নেতৃত্বে লায়ন ইমাম হোসেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ সকল শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির অফিস কার্যালয়ে বসে একটি সুষ্ঠু সমাধান দেয়া হয়।
এর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোক্তার হোসেন মুন্সী কে জাতীয় শ্রমিক লীগ ধামসোনা ইউনিয়ন শাখা কমিটির সভাপতির পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে সংগঠনটি। এবং
তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় করা হয়। মোক্তার হোসেন মুন্সী অভিযুক্ত হলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান তারা।
কিন্তু বিষয়টি সমাধানের পড় ও মোক্তার হোসেন মুন্সী কে আজ গ্রেপ্তার হতে হল কেন এখানে রহস্য কি? এব্যাপারে মুক্তার হোসেন মুন্সির অভিভাবকগণ জানান একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মানববন্ধন ও আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের পর জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ ইমাম হোসেন বিষয়টি সমাধানের পর একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। এবং সেই সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয় । আজ আমার ছেলে সেই অভিযোগের সমাধানের পর আশুলিয়া থানায় গ্রেফতার হয় এটি একটি পরিকল্পিত রহস্যজনক ঘটনা বলে আমরা মনে করি, কারণ ঘটনাটি সমাধানের পর গ্রেফতারের আগে রাগের বসে জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ ইমাম হোসেন ২৩ লক্ষ টাকা দিয়ে এই কমিটি এনেছেন বলে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন আমার ছেলে ।এ ব্যাপারে লায়ন ইমাম হোসেন আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন । এ ব্যাপারে লায়ন ইমাম হোসেনকে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে সে ফোনটি রিসিভ করেননি। অথচ ১৯/১২/২০১৯ ইং তারিখ বিকেলবেলা মোক্তার মুন্সি কে গ্রেপ্তার করা হয় মীমাংসিত মামলায়,
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এস আই সালাম জানান শ্রমিক নেতাকে মারধরের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ গোলাপ হোসেন মুন্সী আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং (৪৩)আমি সেই মামলার উপর ভিত্তি করেই তাকে গ্রেফতার করেছি এবং তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোক্তার মুন্সির পরিবারের দাবি আমাদের ছেলে রাজনীতির বলির শিকার হয়েছে । আমাদের ছেলেএকজন শিক্ষিত ছেলে তার প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুল রয়েছে হঠাৎ রাজনীতিতে প্রবেশ করে আজ মীমাংসিত মামলা তাকে হতে হয় গ্রেফতার । নাকি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে আমার ছেলেকে আজ রাজনীতির বলি হতে হয়েছে।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে দেখে দোষীদের খুঁজে বের করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদী ভুক্তভোগী পরিবারটি।