ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


বিএনপির আইনজীবীদের বিষ খাওয়া উচিত: নাসিম


৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৩

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের চকলেট না খেয়ে বিষ খাওয়া উচিত।’ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভায় নাসিম বলেন, ‘আজকে জামিনের জন্য কোর্টকে জিম্মি করে বিএনপি। এই কাজ আমরা কোনোদিন করিনি। আমরা আইনি লড়াই করে মুক্ত হয়েছি। চকলেট মুখে দিয়ে আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে বসে আছে। কেউ কোনোদিন বলতে পারবে যে জোর করে জামিন নেয়া যায়?’ নাসিম বলেন, ‘আজকে বিএনপি মনে করেছে কোর্টের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে, সুপ্রিম কোর্টে অবস্থান ধর্মঘট করে, চকলেট মুখে দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। আইনজীবীরা চকোলেট মুখে দিয়ে তাকে মুক্ত করবে। তারা আইনজীবী হিসেবে আন্দোলন করতে পারে নাই, ব্যর্থতার জন্য তাদের এখন চকলেট না, বিষ খাওয়া উচিত। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকে তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল করা। কিন্তু শকুনের দোয়ায় কখনও গরু মরে না।’

এ সময় কমিশন করে ‘জেল হত্যার দায়ে’ জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি করেন নাসিম। তিনি বলেন, ‘কমিশন করে খলনায়ক জিয়ার চরিত্র উন্মোচন করতে হবে। তা না হলে কেউ বুঝতে পারবে না, কীভাবে জিয়াউর রহমান পরিকল্পনা করে, দেশকে রাজনীতিকশূন্য করার জন্য জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। কমিশন করে এটা বের করতে হবে। জিয়াউর রহমানের খুনির দল হলো আজকে খালেদা জিয়ার দল।’ আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা ও নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। এ নিয়ে আদালতে অবস্থানরত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘এ আদেশ মানি না’ বলে উচ্চস্বরে শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের শ্লোগানের বিরোধিতা করলে শুরু হয় হট্টগোল, দুপক্ষের বাকবিতণ্ডা ও পাল্টাপাল্টি শ্লোগান।