ঢাকা বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন


৪ নভেম্বর ২০১৯ ০১:০৩

ছবি-নতুনসময়
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রোববার সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা। এরপর সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগস্টে শহীদ ও কারাগারে নিহত জাতীয় নেতাদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান এবং ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতে অংশ নেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা বনানী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। 
 
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছাত্রলীগের ভাপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, 'জাতির পিতা ও তাঁর সুযোগ্য চার সহচরের বর্ণাঢ্য ঘটনাবহুল জীবন-প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মী ও তরুণ প্রজন্মের কাছে রাজনীতি শেখার এক অমূল্য পান্ডুলিপি। তাঁরা আমাদের চলার পথের অনুপ্রেরণা ও শক্তি। জেলহত্যা দিবসে জাতির পিতা ও জাতীয় চারনেতার প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।'
 
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, 'নৃশংসতা কোন পর্যায়ে পৌছালে, বন্দী অবস্থায় বহিরাগতরা জেলে ঢুকে কাউকে হত্যা করতে পারে। আইনের শাসনের ভিত্তিতে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ সেদিন পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। ষড়যন্ত্রকারীরা সুপরিকল্পিতভাবে জাতির পিতার মতোই নির্মমভাবে হত্যা করেছিল বাংলাদেশের চার সূর্যসন্তানকে যারা জাতির পিতার অবর্তমানে তার নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে দেশের চূড়ান্ত বিজয় এনেছিলেন। ইতিহাস সবসময় সত্যের জয়গান গায়, তাইতো আজ জাতীয় চারনেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে গোটা জাতি। আর ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে ষড়যন্ত্রকারী নরপিশাচের দল।'
 
এদিন বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সংসদ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতিলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু কালচারাল অ্যাকাডেমি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ প্রভৃতি সংগঠন।
 
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এর কিছুদিন পরেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে। 
 
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই চার নেতা দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। আর এ এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী।