ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


জবি ছাত্রলীগ সম্মেলন: নেতৃত্বের দৌড়ে কে এগিয়ে?


২০ জুলাই ২০১৯ ২০:৪৮

ছবি সংগৃহিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়(জবি) শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। কোন দুইজন হবেন ছাত্রলীগের আগামীর নেতা? কারা লবিং-তদবিরে এগিয়ে? কার লবিং এর ক্ষমতা কেমন? কে জিতবে এই বাজির খেলায়? একাধিক সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, মাদারিপুর থেকে একজন নেতা বের হবে কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের এলাকার প্রতি টানের কথা উল্লেখ্য করেন।

এদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে একজন নেতা হবে বলে গুঞ্জন শোনা যায়। কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সুনজর এখন উত্তরবঙ্গের দিকে কথা উল্লেখ্য করেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী জবি ছাত্রলীগের কমিটির দায়িত্ব আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক নেতাদের হাতে দিয়েছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজুওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বাড়ি উত্তরবঙ্গে হওয়ায় তিনিও চাইবেন উত্তরবঙ্গ থেকে একজন নেতা বানাতে। জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন ২০ তারিখে হলেও কমিটি দিতে দেরি হবে। চলতি মাসের শেষের দিকে দিতে না পারলে সেপ্টেমরে কমিটি ঘোষনা করবে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক নেতা জানান।

এদিকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা চায় যোগ্য নেতৃত্ব। ছাত্রলীগের নেতৃতে নিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে তাদের হাতেই নেতৃত্ব দেওয়া হোক। জুনিয়ন না সিনিয়র নেতৃত্ব চান, জানতে চাইলে বলেন, নেতা বাছাই করার দায়িত্ব আমাদের হাতে নাই, যারা এই দায়িত্বে আছেন তারাই নেতা বাছাই করবেন।

এদিকে নেতৃত্বের দৌড়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরায়েজী ও আসাদুজ্জামান আসাদ । তবে আসাদুজ্জামান আসাদের বাড়ি মাদারীপুর হওয়ায় নেতা হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে আছেন তিনি । ইব্রাহিম ফরায়েজী নেতা হওয়ার জন্য নিজের এলাকার ক্ষমতাবান আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক বজারয় রেখে চলেছেন ।এছাড়াও আলোচনায় আছেন এস এম আক্তার হোসেনও।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজুওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারীদের মধ্যে আছেন নাহিদ পারভেজ ও সৈয়দ শাকিল। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক(শরিফ-সিরাজ কমিটি) উপ-মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ পারভেজ তার নিজস্ব এলাকার দিনাজপুর-২ আসনের এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর ম্যান হিসেবে পরিচিত। তরিকুল-রাসেল কমিটির সময় যখন ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মাইনাজ করেছিলেন তখন এই ছাত্র নেতা ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হয়েছিলেন । টাঙাইল থেকে উঠে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিলও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে ম্যানেজ করে চলেছেন। এছাড়াও আলোচনায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন ও আল-আমিন শেখ।নারায়নগঞ্জ-২ আসনের এমপি ও জবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুকে ম্যানেজ করে চলেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন । এদিকে নেতা হওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের পেছনে আল আমিন শেখ।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর জবি শাখা ছাত্রলীগের ৩৯ সদস্যের কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে তরিকুল ইসলামকে সভাপতি ও শেখ জয়নাল আবেদীন রাসেলকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটির মেয়াদ ছিল এক বছর। কিন্তু শীর্ষ দুই নেতার পক্ষের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা মারামারি ও সংঘর্ষের পর কমিটি ঘোষণার চার মাসের মাথায় ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার ৬ মাস পরে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন।