ইন্টারকন্টিনেন্টাল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত একটি স্থাপনা। এই হোটেলে ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু অনেক রাজনৈতিক মিটিং করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা এর নতুনরূপে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি সাংবাদিক মার্কটালি এবং সায়মন্ড ড্রিংকসহ অনেকে এই হোটেলে উঠেছিলেন। পাকিস্তানি মিলিটারিরা খবর পেয়ে এই হোটেল ঘেরাও এবং আক্রমণ করেছিল। রান্নাঘরে লুকিয়ে থাকা সাংবাদিক সায়মন্ড ড্রিংক পালিয়ে যান। তিনি একমাত্র সাংবাদিক যিনি গণহত্যার ছবি তুলে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে অন্য সাংবাদিকরাও ৭১ এর হত্যা ও নির্যাতনের অনেক ছবি তোলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু আর্থসামাজিকভাবে উন্নত হচ্ছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে আসছেন সে কারণে উন্নত হোটেল প্রয়োজন। এ ছাড়া হোটেলটির অবস্থানও খুব সুন্দর জায়গায়। পাশে সবুজবেষ্টিত রমনা পার্ক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মো. মহিবুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসএ