ঢাকা রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনে গ্রেপ্তার ২


১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:০৯

রাজধানীর উত্তরায় জাকিয়া নামে দশ বছরের এক শিশু গৃহকর্মীকে বাসার ভেতর আটকে রেখে বর্বর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নাজমা ইয়াসমিন ওরফে মনা  (৩২) ও আল মামুন মিল্টন (৪০) নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
 
উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন রোববার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নতুনসময়কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
 
তিনি বলেন, দশ বছর বয়সী এক কাজের শিশুকে ঘরের ভেতর আটকে রেখে নির্মম নির্যাতনের কারণে নারীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হল ওই বাসার গৃহকর্তা আল মামুন মিল্টন ও তার স্ত্রী নাজমা ইয়াসমিন ওরফে মনা।
 
তিনি আরো বলেন, জাকিয়া নামের ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় তার মা সুফিয়া আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ২০। উক্ত মামলার পরপরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত আরেকজন পলাতক রয়েছেন। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
 
মামলার বাদী সুফিয়া আক্তার জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর তার মেয়ের অসুস্থতার সংবাদ পায় এবং তার ভাইসহ ঢাকায় এসে ওই বাড়ি থেকে তার মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তার শারীরিক  অবস্থা খারাপ দেখে গত ৮ সেপ্টেম্বর  জাকিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তারা।
 
পরবর্তীতে জাকিয়া জানায়, নাজমা ইয়াসমিন ওরফে মনাসহ তার স্বামী এবং মা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের অজুহাতে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুন্তির ছ্যাকা দেয় এবং রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে দুই হাতে পিটিয়ে জখম করে। তাদের অত্যাচারে পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয় সে। তারা বিভিন্ন সময়ে টুকরে টুকরে তার শরীরে জখম করে শুধু তাই নয় তারা তাদের অত্যাচারে কাজের মেয়েটির ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙে যায়। এতে সে দু'হাত সঠিকভাবে নাড়াচাড়া করতে পারে না।
 
তাকে  বিভিন্ন সময় খাবার না দিয়ে মারধর এবং নির্যাতন করা হতো। সবসময় বন্দি রেখে অমানবিক নির্যাতন করতো এতে মেয়েটি মানসিকভাবে ও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে বলেও সুফিয়া জানান।
 
থানা পুলিশ জানায়, জাকিয়ার বাবা না থাকায় মা সুফিয়া আক্তারের সাথে ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বসবাস করছিল। ভরণপোষণের সমস্যা হওয়ায় গত বছর জুলাই মাসে জনৈক শাহনাজ নামে পরিচিত জনের মাধ্যমে নাজমা ইয়াসমিন ওরফে মনা এবং আল মামুন মিল্টনের পরিবারে কাজ করতে দেয়। এর পর থেকেই জাকিয়ার উপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন।
 
একেএ