ঢাকা রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


প্রজন্মকে একুশ শতকের উপযোগী করে তুলবো: মোস্তাফা জব্বার


৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৫৭

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে একুশ শতকের উপযোগী করে গড়ে তুলতে তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সংশ্লিষ্ট সকলকে সময়পোযোগী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

রোববার (০৯ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির ইউল্যাব মিলনায়তনে জাম্পার্স ফোরামের উদ্যোগে "জুলিয়া টিওটি ওয়ার্কশপ অন আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড মেশিন লার্নিং" বিষয়ক তিন দিনব্যাপী কর্মশালার সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত গত কয়েক দশকে যে গতিতে এগিয়েছে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীতে সেভাবে এগুবেনা। আগামী দিনে আমাদের সন্তানেরা কি টুলস ব্যবহার করবে তা এখন থেকেই নির্ধারণ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে মানুষ যে ভাষায় কথা বলুক না কেন প্রযুক্তির বদৌলতে স্মার্টফোনের মাধ্যমে কাঙ্খিত ভাষায় তা শোনা যাবে।

জুলিয়া নিয়ে বাংলাদেশের যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা ভাগ্যবান উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের এ খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে অবদান রাখার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ের ওপর শিক্ষা দিতে হবে। কারণ প্রোগ্রামিংয়ের চর্চাটা জন্ম থেকেই হওয়া উচিত। সরকার মনে করে, প্রাথমিক স্তর থেকে প্রোগ্রামিং শেখা বাধ্যতামূলক করা দরকার। আমাদের সন্তানেরা অনেক মেধাবী। আমরা আমাদের যে প্রজন্মকে এখন প্রাইমারি স্কুলে যেতে দেখি, তাদেরকে স্মার্টফোনের ব্যবহার শেখাতে হয় না। তাই আমরা তাদের এমন স্থানে নিয়ে যেতে চাই যেন তারা ছোট থেকেই প্রোগ্রামিং জানতে পারে।

তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চস্তরের কম্পিউটার বিজ্ঞান বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, তারা এই প্রোগ্রামিংয়ের বিষয়টি একটু পরিহার করেন। তারা একটি পর্যায়ে আসার পরে তাদের মধ্যে এটি গ্রহণ করার একটি মানসিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। তাদের নিজেদের বোঝার জন্য সমস্যা হয়। এই কাজটি যদি প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করা যায় তাহলে যখন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে, তখন তার কাছে বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রোগ্রামিং শিক্ষায় সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিতে হবে। একজন প্রোগ্রামারকে যদি বিদেশে পাঠানো যায়, তাহলে তিনি বছরে সোয়া লাখ ডলার আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে একজন কায়িক শ্রমিকের ক্ষেত্রে মাসিক আয় ২০ হাজারের মধ্যে সীমিত। তাই সোয়া লাখ ডলারের টার্গেট করাটাই সহজ কাজ।

এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, টেকনো হেভেনসের প্রধান নির্বাহী হাবিবুল্লাহ এন করিম।

এ কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও আইটি প্রতিষ্ঠান সমূহের মোট ২৮ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রী ওয়ার্কশপে অংশ গ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

একেএ