ঢাকা রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


এখন সার নিতে কৃষকদের গুলি খেতে হয় না


৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:৫২

বিএনপি আমলে সারের জন্য কৃষককে ধরনা দিতে হয়েছে, এমনকি জীবনও দিতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারের জন্য কৃষককে এখন আর ধরনা দিতে হয় না, গুলিও খেতে হয় না, সার কৃষকদের হাতেই পৌঁছে যায়। বর্তমান সরকার সেই ব্যবস্থা করেছে।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) উদ্যোগে আয়োজিত ষষ্ঠ জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

কৃষি উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পর অল্প সময়ের মধ্যে এ দেশকে গড়ে তুলেছিলেন জাতির পিতা। জিয়াউর রহমান ও তৎপরবর্তী (হুসেইন মুহম্মদ) এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার জাতীর পিতার নেওয়া সব উন্নয়ন পরিকল্পনা বন্ধ করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষকে শোষণ করাই লক্ষ্য ছিল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের। এদেশের মানুষ ভিক্ষা করবে, ক্ষমতা দখলকারীরা এটাই চেয়েছিল।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কৃষির উন্নয়নে নানা প্রকল্প-পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে জমির সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, সারের জন্য কৃষকদের ধরনা দিতে হয়েছে। এমনকি গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন সারের জন্য ধরনাও দিতে হয় না। সারই কৃষকের হাতের মুঠোয় পৌঁছে যায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তিন দফায় সারের মূল্য কমিয়েছে। আগে বর্গাচাষিদের ঋণ দেওয়া হতো না। আমরা তাদের জন্যও ঋণের ব্যবস্থা করি। কৃষককের সুবিধার জন্য ব্যাংকই কৃষকের দ্বারে গিয়ে ঋণ পৌঁছে দেয়, সেই ব্যবস্থাও করেছি।’

দেশ এগিয়ে যাক- এটাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য দিয়েই দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আপদকালের জন্য খাদ্য মজুদ রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপিরও কড়া সমালোচনা করার পাশাপাশি কৃষিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার পাশাপাশি ২১০০ সালের মহাপরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছি। অথচ বিএনপির নীতিই ছিল, এ দেশের মানুষ ভিক্ষা করবে। কিন্তু আমরা যুদ্ধজয়ী বীর জাতি, আমাদের কেন অন্যের কাছে হাত পাততে হবে।

আইএমটি