ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


ইলিশের জীবনরহস্য উদঘাটন: বাকৃবি


৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:১৭

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে বিশ্বে প্রথমবারের মতো উন্মোচিত হয়েছে ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য।

ইলিশের ভৌগোলিক স্বীকৃতি বা জিআই পাওয়ার পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে বাকৃবি শুরু করেন গবেষণা। তারই ধারাবহিকতায় বিশ্বে প্রথমবারের মতো উন্মোচিত হলো এটি।

দেশীয় ইলিশের রেফারেন্স জিনোম প্রস্তুতকরণ, জিনোমিক ডাটাবেজ স্থাপন এবং মোট জিনের সংখ্যা নির্ণয় করার জন্য এ গবেষণা করা হয়।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান পূর্ণাঙ্গ ইলিশ জিনোম সিকোয়েন্সিং ও অ্যাসেম্বলি টিমের সমন্বয়ক ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম।

তিনি বলেন, জিনোম হচ্ছে কোনো জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।এর মাধ্যমে জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াসহ সব জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ইলিশের জিনোমে রয়েছে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার নিউক্লিওটাইড। যা মানুষের জিনোমের প্রায় এক চতুর্থাংশ।

বছরে ২বার ইলিশ প্রজনন করে থাকে। জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে এই ২ সময়ের ইলিশ জিনগতভাবে সকল তথ্য জানা যাবে। এমনকি কোনো নির্দিষ্ট নদীতে জন্ম নেওয়া পর সাগরে চলে গিয়ে বড় হয়ে প্রজননের জন্য পুনরায় একই জলে ফিরে আসে কিনা সেসব তথ্যও জানা যাবে এই জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে।

তিনি আরো বলেছেন, এরকম নতুন নতুন তথ্য উন্মোচনের মাধ্যমে জানা যাবে ইলিশের টেকসই আহরণ।এমনকি দেশের কোথায় কোথায় ও কতটি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন তা সহজে নির্ধারণ করা যাবে।

জাতীয় মাছ ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং এর গবেষণা কাজটি গবেষকদের নিজস্ব উদ্যোগ। এ গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলদেশের মৎস্য সেক্টর পূর্ণাঙ্গ জিনোম গবেষণার যুগে প্রবেশ করেছে বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।

এসএমএন