ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২২শে মে ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন এনসিপির দুই শীর্ষ নেতা


২২ মে ২০২৫ ২০:৪২

ফাইল ফটো

রাজধানীর রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণকে ঘিরে। গেল এক সপ্তাহ ধরে এই ইস্যুতে ঢাকায় দেখা দেয় অচলাবস্থা, যার প্রেক্ষাপটে সরকার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নতুন নির্বাচন দেওয়ার চিন্তা করছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা, কারা হবেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পরবর্তী নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী?

 

এই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে দুই আলোচিত মুখ—দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসা এই দুই তরুণ নেতাকে সামনে রেখে এনসিপির একাংশ ইতিমধ্যেই প্রচারণা শুরু করেছে।

 

এ বিষয়ে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (ইউপি-বি) প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত নিজের ফেসবুকে লেখেন, “শোনা যাচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন দিবে আসিফ মাহমুদ সরকার। এনসিপির মানুষজন ইশরাক হোসেন বনাম হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রচারণা চালাচ্ছে। যদি নির্বাচন হয়ই, আমি ব্যক্তিগত আরেকটা এংগেল দিই—ইশরাক হোসেন বনাম হাসনাত আব্দুল্লাহ বনাম সাদিক কায়েম। খেলা হবে?”

 

অন্যদিকে এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে লিখেছেন, “গত সাত দিনে তিনি যে নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন, তা তাঁর রাজনৈতিক অপরিপক্বতার প্রমাণ। এমনকি যদি নির্বাচন হয় এবং সেখানে হাসনাত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে ইশরাকের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে!”

 

এদিকে, ইশরাক হোসেনের শপথ বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এতে তার মেয়র হিসেবে শপথ নিতে কোনো আইনি বাধা থাকছে না বলে জানান ইশরাকের আইনজীবীরা। তবে রিটকারী পক্ষ জানিয়েছেন, তারা আপিল বিভাগে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

সব মিলিয়ে আগামী সিটি নির্বাচন ঘিরে বিএনপি, এনসিপি, দ্বিমুখী অবস্থান ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। রাজধানীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কোন দিক থেকে আসবে, তা নির্ধারিত হবে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের মাধ্যমেই। যাকে রাজনীতির পরবর্তী চমক হিসেবেই দেখছেন রাজধানীর মানুষ।