বরগুনার আমতলী খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী আন্দোলন

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পূরাকাটা খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল ও খেয়া ভাড়া ১০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, আমতলী উপজেলা।
শনিবার, ৩ মে সকাল ১০টার দিকে আমতলী বাজার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরগুনা জেলা শাখার সংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গরিব-দুঃখী মানুষের ওপর অন্যায়ভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। আমরা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই, ইজারা বাতিল করে সরকারি নির্ধারিত ১০ টাকা ভাড়া কার্যকর করা হোক। শ্রমজীবী মানুষদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”
এ আন্দোলনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমী। গত ৩০শে এপ্রিল তিনি বরগুনা খেয়াঘাটগুলোর ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তার সেই পোস্ট ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ও গণমানুষের মধ্যে দাবির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন দেখা যায়।
বক্তারা আরও বলেন, খেয়াঘাটের ইজারাদারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। বক্তারা দাবি জানান, ইজারা বাতিল করে খেয়া ভাড়া ১০ টাকা নির্ধারণ করে তা কার্যকর করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন:
উপজেলা সভাপতি বলেন, “গরিব মানুষদের ঘামে ভেজা টাকা থেকে জোর করে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া অন্যায়। আমরা তা মেনে নেব না।”
সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ইজারা বাতিল করে ১০ টাকা ভাড়ার সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় আমরা গণআন্দোলন গড়ে তুলবো।”
এক শ্রমিক নেতা বলেন, “প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই খেয়াঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। অতিরিক্ত ভাড়ার বোঝা তাদের জন্য বিশাল কষ্টের।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “নদীপথে চলাচল করা আমাদের একমাত্র ভরসা। ভাড়া নিয়ন্ত্রণ না হলে আমাদের জীবন আরও বিপর্যস্ত হবে।”
বক্তারা প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা না নিলে তারা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।