ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হাসিনার অপশাসন ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনের চিত্র


২ মে ২০২৫ ১৩:৩১

ফাইল ফটো

শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়। সেইসঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা আমলের অত্যাচার-নির্যাতন আর অপশাসনের চিত্রও তুলে ধরা হয় প্রায় ৫০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে। 

 

যাতে উঠে আসে কিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। 

 

বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা উঠে এসেছে আল-জাজিরার তথ্যচিত্রে। এছাড়াও দেশ গঠনে প্রশাসনের সংস্কারসহ, বিচার ব্যবস্থা পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

 

আল-জাজিরা প্রকাশিত ‘রিবিল্ডিং বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি আফটার শেখ হাসিনা’ তথ্যচিত্রে ফুটে উঠেছে গত ১৫ বছর পুলিশ, র‍্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করে কীভাবে খুন, গুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী মত ও চিন্তাশক্তিকে দমন করা হয়েছিল। কিভাবে ফ্যাসিবাদের ইতিহাস রচনা করেছিলো শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার। 

 

শুধুমাত্র বিরোধী দল ও চিন্তাকে দমন করতে র‍্যাব ও পুলিশকে ব্যবহার করে অনেককে অপহরণ করে টর্চার শেলে আটক রেখে করা হয়েছে নির্যাতন।

 

এছাড়া গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে কঠোর অবস্থান নেয় হাসিনা সরকার ও তার বাহিনী। সারাদেশে ছাত্র আন্দোলনে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। আন্দোলনে আইনশৃংখলারক্ষা বাহিনীর হাতে মারা যায় ছাত্রসহ সাধারণ জনগণ। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের মাধ্যমে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ফ্যাসিস্ট সরকার। 

 

তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয় কীভাবে ছাত্রদের দমন করতে বলপ্রয়োগের ব্যর্থ চেষ্টা চালায় শেখ হাসিনা।

 

এদিকে আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার পক্ষ নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা পায় সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেতে পারে না। 

 

ছাত্র জনতার অনুরোধে বাংলাদেশ পুনর্গঠনে নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন ৮৪ বছর বয়সী শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিগত সরকারের নির্যাতন, গুম-খুনের বিচার প্রক্রিয়া শক্ত হাতে পরিচালনার মধ্য দিয়ে, তার সাহসিকতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রে।

 

ভারতের অনুশাসন থেকে বের হয়ে চোখে চোখ রেখে ভারতের সাথে সংঘাতে না জড়িয়ে শক্ত কূটনৈতিক অবস্থান প্রকাশ করে আলোচনার জন্ম দেন এই নোবেল বিজয়ী। তার নেতৃত্বে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার চিত্র ফুটে উঠেছে এই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যচিত্রে।