ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


দুই দেশ থেকে আসছে তিন কার্গো এলএনজি


৩ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২৪

সংগৃহীত

সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড থেকে তিন কার্গো তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এক কার্গো এলএনজি মানে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) গ্যাস।

দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আমদানি করা হবে এক কার্গো এলএনজি। প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৯ দশমিক ৬৮ মার্কিন ডলার। এতে ব্যয় হবে ৪১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অপার এক প্রস্তাবে একই দেশের গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতি ইউনিটের দাম ৯ দশমিক ৪৯ ডলার দরে এক কার্গো এলএনজি কেনা হচ্ছে। এতে সরকারের খরচ হবে ৪১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

আরেক প্রস্তাবে প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ৮৯ ডলার দরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার থেকে এক কার্গো আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এতে মোট খরচ পড়বে ৪২৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। গতকালের বৈঠকে মোট ১০টি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে সব মিলিয়ে ব্যয় হবে ৩ হাজার ১১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০ ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ব্যয় হবে ১ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এতে অর্থায়ন করবে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বিআইটিইএস লিমিটেড ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজগুলো সরবরাহ করবে।

তিনি আরও বলেন, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৬৬ দশমিক ৩৭ ডলার। এতে ব্যয় হবে ১২০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

কমিটির বৈঠকে গতকাল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও রাইস ব্রান অয়েল (কুঁড়ার তেল) কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৪৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫০ লাখ লিটার রাইস ব্রান বা কুঁড়ার তেল রয়েছে।

মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, প্রতি লিটার ১৫২ টাকা ৯৮ পয়সা হিসাবে সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে সয়াবিন তেল কেনা হবে। আগে এর দর ছিল ১৫৫ টাকা ৯৭ পয়সা। ১০ হাজার টন মসুর ডালের মধ্যে সেনাকল্যাণ সংস্থা ও নাবিল নাবা ফুড থেকে ৫ হাজার টন করে কেনা হবে। প্রতি কেজি ১০২ টাকা ৭৫ পয়সা হিসাবে ডাল কিনতে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

প্রতি লিটার ১৫২ টাকা দরে ৫০ লাখ লিটার রাইস ব্রান অয়েল বা কুঁড়ার তেল কেনা হচ্ছে মজুমদার ব্রান ওয়েল মিলস এবং মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে। এতে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি টাকা। এসব ডাল ও তেল এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করবে টিসিবি।

নতুনসময়/এএম


এলএনজি, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, গ্যাস, আমদানি