ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ঈদ উপলক্ষে ডিএমপির ২৪ নির্দেশনা


২৬ জুন ২০২৩ ০৪:২৫

ঈদযাত্রা ও কোরবানির পশুর হাট বিষয়ে ২৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (২৫ জুন) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।

ডিএমপির নির্দেশনাগুলো হচ্ছে:

১. হাটে ট্রাক থেকে গরু নামানোর এবং বিক্রির সময়ে সংশ্লিষ্ট সড়ক-মহাসড়কের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট যেন ব্যাহত না হয়।

২. নৌপথে ট্রলারের মাধ্যমে রাজধানীতে আসা কোরবানির পশু যেন সুশৃঙ্খলভাবে নির্ধারিত হাটে যেতে পারে, সে বিষয়ে যথাযথ নজরদারি রাখতে হবে।

৩. পশুর হাটে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের জন্য পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. যত্রতত্র যেন কোরবানির পশুর হাট না বসে এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকে।

৫. পশুবাহী গাড়িগুলো অবশ্যই সিটি কর্পোরেশন অনুমোদিত হাটের ভিতর লোড-আনলোড করতে হবে।

৬. গরুর হাটকেন্দ্রিক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন, হাট ইজারাদার, পরিবহন মালিক, শ্রমিকনেতাদের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে হবে।

৭. টার্মিনাল ও পশুর হাটকেন্দ্রিক সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

৮. টার্মিনালকেন্দ্রিক যাত্রী ওঠানামা টার্মিনালের ভেতরেই করতে হবে।

৯. যাত্রী পরিবহন ও পশুবহনকারী গাড়ির চলাচল সুশৃঙ্খল করার জন্য ঢাকা মহানগরীর এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্টে ইনকামিং/আউটগোয়িং রোডে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবহন চালাতে হবে।

১০. ঢাকা মহানগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে।

১১. আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রীগণ বা গমনপ্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভিতরে অবস্থান করার জন্য আহ্বান করা হলো।

১২. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট বহন করবেন।

১৩. কোনো যানবাহনেই ছাদের ওপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।

১৪. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না, যেন সড়কের শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানির আশঙ্কা থাকে।

১৫. টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।

১৬. ঈদের আগের তিন দিন কোনো ভারী যানবাহন যেন ঢাকা মহানগরীতে না ঢোকে, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে।

১৭. ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন এবং বিমানবন্দরকেন্দ্রিক রুটগুলো চলাচল উপোযোগী রাখতে হবে।

১৮. ঈদকে ঘিরে বিনোদনকেন্দ্রিক রুটগুলোর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখতে সচেষ্ট থাকতে হবে।

১৯. আনফিট/রুট পারমিটহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে, থাকবে।

২০. প্রধান প্রধান ঈদ জামাতকেন্দ্রিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২১. জনগণ যেন যাত্রাপথে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ না করেন, সে বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।

২২. যাত্রাপথে জনগণ যেন ব্যক্তিগত মালামাল ও অর্থ সাবধানে রাখে, সে বিষয়ে তাদের সচেতন করতে হবে।

২৩. মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহীদের ঢাকার বাইরে দূরপাল্লার যাতায়াতের সময় অবশ্যই হেলমেট পরিধান করতে হবে।

২৪. ঈদের আগে-পরে ফাঁকা রাস্তায় ওভারস্পিড প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।