ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


একটি দলকে নেতৃত্ব শূন্য করার ঘৃন্য অপচেষ্টা : ট্রাইব্যুনাল


১১ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০২

ছবি সংগৃহীত

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ২০ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে স্থাপিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার রায়ের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শাহেদ নূর উদ্দীন বলেছেন, রাজনীতি মানেই কি বিরোধীদলের উপর পৈশাচিক আক্রমণ। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা শুধু আক্রমণই ছিল না, এটি ছিল একটি দলকে নেতৃত্ব শূন্য করার ঘৃন্য অপচেষ্টা।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের মধ্যে শত বিরোধ থাকবে। তাই বলে রাজনীতে বিরোধী দলকে নেতৃত্ব শূন্য করার প্রয়াস কেন, এটা কাম্য নয়। বুধবার দুপুরে গ্রেনেড হামলা মামলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক এ কথা সব বলেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ক্ষমতায় যে দলই থাকবে, বিরোধী দলের প্রতি তাদের উদার নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। বিরোধীদলের নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ফায়দা অর্জন করা মোটেও গণতান্ত্রিক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ নয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর জাতীয় চার নেতা নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কিন্ত এর পরও ষড়যন্ত্র থেমে না থেকে তা চলমান থাকে। তাৎকালীন রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় প্রকাশ্য দিবালোকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলা ছিল বিরোধীদলকে নেতৃত্ব শূন্য করার অপচেষ্টা।

আরকেএইচ