ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


টিউমার যেন স্কুল ছাত্রী ইতিকে নিয়ে তামাশা করছে


২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৫৯

দিনে দিনে টিউমার বড় হয়ে ইতির একটি চোখ বিকৃত আকার ধারণ করছে। গৌরনদী গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৬) ইতি আক্তারের।
 
টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে গত তিন বছর দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে ইতি। ইতি আক্তার গৌরনদী পৌর সদরের তিখাসার মহল্লার রবিউল ভিলা এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর রুস্তম আলী পাইকের মেয়ে।
 
তবে দরিদ্র পরিবারে মেয়ে ইতির দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা করাতে গিয়ে দিনমজুর বাবা রুস্তম আলীও আজ নিঃস্ব। চিকিৎসা করেও যেন রেহাই হচ্ছে না তার।  
 
ইতির চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল বিক্রি করে নিঃস্ব রুস্তম আলীর ৭ সদস্যর সংসার চলে ছেলে টুটুল হোসেনের সামান্য একটি চায়ের দোকানের উপার্জিত টাকায়। 
 
ইতির বাবা জানান, তিন বছর আগে ইতির মাথায় যন্ত্রনা হয়। ওই সময় তাকে (ইতি) প্রথমে গৌরনদী হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে নেয়ার পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে ব্রেন টিউমারের বিষয়টি ধরা পরে। চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ওষুধের মাধ্যমে টিউমারটি নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
 
এ অবস্থায় ইতিকে বাঁচাতে সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তার বাবা।
 
এদিকে চিকিৎসকরা বলেছেন, জরুরি ভিত্তিতে ইতি আক্তারকে ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে অপারেশনের ব্যবস্থা করা না হলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। কিন্তু এর জন্য যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তা ইতির বাবার পক্ষে সম্ভব না। তাই ইতির উন্নত চিকিৎসার আশা ছেড়ে দিয়েছেন দিনমজুর বাবা। কিন্তু ইতি এখনও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে।
 
ইতিকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : টুটুল হোসেন, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ০২০০০০২০৮৭৮৬১, অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড, গৌরনদী শাখা, বরিশাল। যোগাযোগ: ০১৭৮১-৬৫৯০৫৯।
 
আরআইএস